Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যবিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি না করে আধুনিকিকরণ করা হচ্ছে : যীষ্ণু

বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি না করে আধুনিকিকরণ করা হচ্ছে : যীষ্ণু

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জুলাই : সরকার চাইছে পিছিয়ে পড়া ৮০ টি গ্রামে মাইক্রো সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর জন্য সরকারের ব্যয় হবে ৮০ কোটি টাকা। “উজ্জ্বল ভারত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ” এই ভাবনাকে সামনে রেখে শুক্রবার টি এস ই সি এল এবং পাওয়ার গ্রীডের উদ্যোগে মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বিদ্যুৎ মহোৎসবে উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদ্যুৎ মন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, রাজ্যে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি না করে আধুনিকিকরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেড় বছরে ৫০-র উপর সাব ষ্টেশন নির্মাণ করা হয়ে গেছে।

এর ফলে বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকটাই কমানো গেছে। রাজ্যে ৬২ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে বনভূমি। এতে করে পরিষেবা দিতে বর্ষাকালে সমস্যা হয়। তাও কিভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। দপ্তর এই ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উপর বেশী নজর দিয়েছে বলে জানান উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। তিনি আরো বলেন বিদ্যুৎ হল ত্রিপুরার একমাত্র সম্পদ। এবং এই সম্পদ নিয়ে ব্যবসা করে শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়াও গ্রামীণ অর্থনীতি বৃদ্ধি করতে বিদ্যুতের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা হচ্ছে। এছাড়া ত্রিপুরা ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না।

কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো পূর্বতন সরকারের আমলে শুধু বক্তৃতাই দিয়ে গেল। উন্নয়নের কোন কাজ করেনি। এমনটাই বললেন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। মন্ত্রী আরো বলেন বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। জুমিয়ারা যাতে বাজারে এসে তাদের কৃষিজ ফসল বিক্রি করতে পারে তার জন্য বাজারগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রেতারা যাতে বাজারে এসে জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারে তার জন্য রাস্তায় স্টেট লাইট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,

একটাই বার্তা জাতীয় একতা। সড়কের মাধ্যমে দেশকে জোরার কাজ চলছে। এক দেশ এক কর চালু হয়েছে। আগে জাতীয় একতার  নামে একটি দিন কেবল উদযাপন করা হত। বক্তৃতা, নাচ, গানের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করা হত। এই জাতীয় একতা কাজের মাধ্যমে করে দেখাতে হয়। যা করে দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সরকারের মূল মন্ত্রী হল যারা শেষ সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের কাছে আগে সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন টি এস ই সি এল –র এম ডি, পশ্চিম জেলার সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, ক্রীড়া পর্ষদের সচিব অমিত রক্ষিত,  জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য