স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জুলাই : বিদ্যালয়ে মারপিটের ঘটনায় উত্তপ্ত তেলিয়ামুড়া মহকুমা মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়। ঘটনায় মাথা ফেটে আহত ছাত্র। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাসের ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ঘটনাকে লঘু করার উদ্যোগ এই প্রধান শিক্ষকের। ঘটনা সদ্য বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের তকমা পাওয়া দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে।
স্কুলের কুকীর্তির জেরে ফের শিরোনামে উঠে এল স্কুলটি। জানা গেছে শুক্রবার কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে চত্বরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। আহত হয় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সাগর সরকার। সংঘর্ষে মাথা ফেটে যায় তার। জানা যায় সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোষ্ট করার বিষয়’কে কেন্দ্র করে দ্বাদশ শ্রেণীর দুই ছাত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এই ঘটনার পর আহত ছাত্রকে চিকিৎসার জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সহ এলাকার এক নেত্রী। পরে সংবাদ সংগ্রহ করতে বিদ্যালয়ে সাংবাদিক’রা গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাস ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। বিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন বিষয় বলে লঘু করতে চান। সব বিষয়ে মিডিয়াকে জানানো তার দায়িত্ব নয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক বলে অভিযোগ।
শেষ পর্যন্ত ঘটনা ধাপাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের দরজা বন্ধ করে এলাকার এক নেত্রী সহ বসানো হয় সালিশি সভা। সাংবাদিকদের উপস্থিতির টের পেয়ে প্রধান শিক্ষক কক্ষের দরজা খুলতে না চাইলেও দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে দরজা খোলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এরই মাঝে সালিশি সভা চলাকালীন সময়ে জানালা দিয়ে তেড়ে আসেন এক মহিলা। তিনি নিজেকে আশেপাশের সদস্য হিসাবে পরিচয় দেন। তবে কিসের সদস্য তা আর জানাতে পারেন নি। স্কুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিনের ঘটনার জেরে ফের শিরোনামে উঠে এল মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়।