স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুলাই : সরকারের বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে পুনরায় আন্দোলনে সিদ্ধান্ত সংযুক্তি কিষাণ মোর্চা। শুক্রবার ছাত্র যুব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার আহ্বায়ক পবিত্র কর। বিগত বছর ৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি ছিল তিনি তিনটি কৃষি আইন বাতিল করবেন। বাকি দাবিগুলি কৃষক সংগঠনগুলি সাথে আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর করার দায়িত্ব নেবেন।
বিশেষ করে এক বছর কৃষকদের রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে হয়েছিল। আর এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন। পার্লামেন্টে গিয়ে এই আইন প্রত্যাহার হয়েছে। তবে কৃষকদের প্রধান দাবি ছিল ফসল কেনার জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য আইন প্রণয়ন করা। এর জন্য প্রতিশ্রুতি ছিল কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। কিন্তু দেখা গেছে সরকার একটি বিবৃতি মাধ্যমে জানা কমিটি তৈরি করেছে। এই কমিটি যাদের নিয়ে করা হয়েছে তারা হলেন কৃষি আইন প্রণয়ন করার জন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই কমিটির চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য নেতৃত্ব। বিশেষ করে যারা কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল তাদের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নজরে এসেছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এই কমিটির আহ্বান প্রত্যাহার করেছে। এই কমিটির সাথে সংযুক্ত কিষান মোর্চা কোন এসোসিয়েশন করবে না।
এবং এই কমিটির মধ্যে সংযুক্ত কিষান মোর্চার কেউ যাবে না। তাই আগামী ৩১ জুলাই জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডে জড়িত চার্লস টেগারডকে যিনি হত্যা করেছেন সেই শহিদ উধম শিং আত্ম বলিদান দিবসকে সামনে রেখে বর্তমান বিজেপি সরকারের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য প্রতিবাদ জানাতে দেশের ৫ শতাধিক জেলাতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চাক্কা জ্যাম করা হবে। অবরোধ করা হবে সকাল ১১ টা থেকে। এবং এই অবরোধস্থল থেকে চারটি দাবি তোলা হবে সরকারের উদ্দেশ্যে। ফসলের ন্যায্য মূল্যের জন্য আইন আনতে হবে, কৃষকদের বিরুদ্ধে নেওয়া মামলা গুলি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে (মূলত দিল্লি পাঞ্জাব হরিয়ানা উত্তর প্রদেশের কৃষকদের), এবং লখিমপুরে কৃষক হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল ২০২০ প্রত্যাহার করতে দাবি জানানো হবে।
জয় জওয়ান, জয় কিষান দিবস পালন করা হবে। কারণ সরকার সম্প্রতি অগ্নিপথ প্রকল্প দেশবাসীর সামনে এনেছে। এ প্রকল্পে মাধ্যমে দেশে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ হবে স্বল্প মেয়াদের জন্য যুবক যুবতীরা। আর ৯০ ভাগ ছেলে-মেয়ে সেনাবাহিনীতে যায় কৃষক পরিবার থেকে। তাই প্রাক্তন সৈনিকদের নিয়ে আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি নেওয়া হবে। পাশাপাশি আরো একটি কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সেটা হলো যারা দেশের দুগ্ধ উৎপাদক রয়েছে, তাদের ডাইরি ফেডারেশন অর্থাৎ ত্রিপুরার ডাইরি উৎপাদক সমিতিকে নিয়ে
আগামী ২৭শে জুলাই বর্ধিতি জি এস টির জন্য দুধ ও দুধজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাবে রাজ্য কৃষক সভার অন্তর ভুক্ত ডেয়ারি শিল্প উন্নয়ন সমিতি। সেদিন পশু পালন বিকাশ দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা। তিনি বলেন যেভাবে দেশের প্রধান স্মারক অশোক স্তম্ভকে পালটে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের ধর্ম নিরপক্ষেতাকে লঙ্ঘন করেছেন এবং দেশের সেনাবাহিনীকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগের মাধ্যমে তৈরি করতে চাইছেন তারও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে কৃষক সভা।