স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ নভেম্বর। সম্প্রতি নিজস্ব ‘ফেইশল রিকগনিশন সিস্টেম’ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে শীর্ষ সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকের পক্ষ থেকে। কিন্তু মাস পেরোনোর আগেই ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে ‘ভিডিও সেলফি’ চাওয়া শুরু করেছে ফেইবুকের (বর্তমান মেটা) মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম।
সম্প্রতি একাধিক ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রামের ‘ভিডিও সেলফি’ আবদারের স্ক্রিনশট টুইটারে পোস্ট করেছেন বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ। স্ক্রিনশটগুলোতে ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন দিক থেকে নিজের মুখায়বের ভিডিও করে তিনি আদৌ একজন মানুষ কি না সেটি প্রমাণ করতে বলা হয়েছে।অপর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এক্সডিএ ডেভেলপার্স বলছে, ২০২০ সালেই পরীক্ষামূলকভাবে ফিচারটি চালু করেছিল ইনস্টাগ্রাম, সেবার কারিগরি জটিলতায় পরে বন্ধও করে দেওয়া হয়েছিল ফিচারটিটি। তবে, এবারে একাধিক ব্যবহারকারী তাদের কাছে “ভিডিও সেলফি” চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টুইটারে ‘ভিডিও সেলফি’র হেল্প স্ক্রিনের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন বেটিনা মাকালিনটাল। স্ক্রিনশটে “সব অ্যাঙ্গেল থেকে” ব্যবহারকারীর মুখ দেখতে চাওয়া হয়েছে যেন ব্যবহারকারী প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি একজন মানুষ, কোনো এআই বা বট নন। একই ভেরিফিকেশন স্ক্রিনের মুখোমুখি হচ্ছেন ব্যবহারকারীদের অনেকে।
ভার্জ বলছে, ইনস্টাগ্রামের এই নতুন ‘ভিডিও সেলফি’ চাওয়া কোনো পরীক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের অংশ নাকি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা ফিচার, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। ফিচারটি প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মেটা।
নভেম্বর মাসের শুরুতেই ‘ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তি’র ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল মেটা। পরবর্তীতে সেই ঘোষণায় স্বচ্ছতা আনতে মেটা বলেছিল, কেবল ফেইসবুকের নির্দিষ্ট একটি ফিচার বন্ধ হচ্ছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ করছে না তারা।
ভার্জ বলছে, টুইটারে পোস্ট হওয়া স্ক্রিনশটের নিচে থাকা টেক্সট ইঙ্গিত করছে যে ফিচারটি ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে না এবং ব্যবহারকারীদের ভিডিও ৩০ দিন পর মুছে দেওয়া হবে।
তবে, সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ফেইসবুক তথা মেটা’র বিশ্বাসযোগ্যতা সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ভার্জ। তথ্য ফাঁসকারী সাবেক কর্মীদের কারণে জনসমক্ষে চলে এসেছে ফেইসবুক তথা মেটার দাবি আর কর্মকাণ্ডের অসামঞ্জস্য। এমন পরিস্থিতিতে, ইনস্টাগ্রামের নতুন ফিচারটি ব্যবহারকারীর মনে নতুন সন্দেহের উদ্রেক করতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ভার্জ।