স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২১ নভেম্বর: ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের এক বছর পূর্তি হলো মাত্রই। গত বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জেতে তারা। ইংল্যান্ডে অ্যাশেজের চ্যালেঞ্জেও কামিন্সের দল ধরে রাখে ট্রফি। বছর তিনেক আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সবশেষ চার সিরিজেই জয়ী দলের নাম ভারত।
এই সময়ে দুই দফায় অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও সিরিজ জিতে ফিরেছে ভারত। সবশেষ সফরে তো অধিনায়ক ভিরাট কোহলি প্রথম টেস্টের পর দেশে ফিরে গেলেও চোট-জর্জর জোড়াতালি দেওয়া দল নিয়েও স্মরণীয় সাফল্য পায় তারা। অথচ এই দুইবারের আগে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয়ের স্বাদ ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসেই ছিল না।এবার দুই দল আবারও অপেক্ষায় মহারণের। পার্থে শুক্রবার শুরু পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্যাট কামিন্স তুলে ধরলেন, সিরিজ জিততে কতটা মরিয়া তারা।
“আমার মনে হয়, ড্রেসিং রুমের অর্ধেক সদস্যই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জেতেনি। আমাদের জন্য তাই এটা শেষ একটি লক্ষ্য, যেটি পূরণ করার বাকি আছে।”“গত কয়েক বছরে অন্য প্রায় সব চ্যালেঞ্জেই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি এবং ভালো করেছি। আরও একটি বছর, আরেকটি অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে সেটি করতে পারলে সবকিছু একটা পূর্ণতা পাবে। এটা দুই-তিন মৌসুমের ব্যাপার শুধু নয়, প্রায় অর্ধেক প্রজন্মের ব্যাপার। বিশ্বের সেরা দলগুলির একটি ভারতকে এখানে পেয়ে আমরা তাই দারুণ রোমাঞ্চিত।”
পারিবারিক কারণে প্রথম টেস্টে ভারত পাচ্ছে না অধিনায়ক রোহিত শার্মাকে। তার জায়গায় নেতৃত্ব দেবেন সহ-অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ। অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামি তো স্কোয়াডেই নেই চোটের কারণে। অনুশীলনে চোট পেয়ে প্রথম টেস্টে অনিশ্চিত শুবমান গিলও।তবে ভারতের বিকল্প ক্রিকেটারদের প্রতিও সমীহের কমতি নেই কামিন্সের।
“আমাদের দলের প্রায় সবাই আইপিএলে খেলেছি এবং দেখেছি, নতুনরা কীভাবে এসে সরাসরিই মানিয়ে নেয়। ওরা এবার নিয়মিত দু-একজনকে পাচ্ছে না, তবে আমরা খুব ভালো করেই জানি, যাদেরকে তারা বেছে নেবে, তারা টেস্ট ক্রিকেট খেলার মতো যথেষ্টই ভালো।”অস্ট্রেলিয়া দলেও আছে নতুন এক মুখ। পার্থ টেস্ট দিয়েই অভিষেক হবে ওপেনার ন্যাথান ম্যাকসুয়েনির। ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর চার টেস্টে ওপেন করেছেন স্টিভেন স্মিথ। সেই পরীক্ষা শেষে তিনি এখন ফিরছেন চেনা পজিশনে। ম্যাকসুয়েনি শুরু করছেন তার অধ্যায়।
ওয়ার্নারের মতো অতটা আগ্রাসী নন ম্যাকসুয়েনি, খেলার ধরন পুরোই আলাদা। তাকে নিজের মতো খেলারই পরামর্শ দিলেন কামিন্স।‘ডেভির (ওয়ার্নার) মতো একজনের ঘাটতি পূরণ করা অনেক দিক থেকেই কঠিন। তবে ন্যাথানের মতো একজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, মাঠে নেমে নিজের সহজাত খেলাটা খেলতে পারে। ডেভির মতো ৮০ স্ট্রাইক রেটে ছোটার প্রয়োজন নেই তার।”