স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ নভেম্বর: আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের আনন্দিত হওয়ার আরেকটি কারণও অবশ্য আছে। ঘরের মাঠ বুয়েন্স আইরেসে বুধবার তার একমাত্র গোলেই যে পেরুর বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচটি জিততে পেরেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।আগের ম্যাচে হারের হতাশা নিয়ে পেরুর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। বল দখলে আধিপত্য করলেও আক্রমণে তেমন ধার ছিল না মেসি-আলভারেসদের। যার স্পষ্ট পরিসংখ্যানে। গোলের জন্য নেওয়া ১০ শটের কেবল তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে অসাধারণ নৈপুণ্যে কাঙ্ক্ষিত গোলটি এনে দেন মার্তিনেস। বাঁ দিক থেকে মেসির বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে শূন্যে লাফিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড। আর ওই গোলই গড়ে দেয় ব্যবধান।আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি মার্তিনেসের ৩২তম গোল। আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে তিনি।
পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটি মাঠে বসে দেখেছেন মার্তিনেসের পরিবার। ম্যাচ শেষে স্থানীয় টিভিকে ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার বলেছেন, জয় দিয়ে বছর শেষ করতে পারার উচ্ছ্বাসের কথা।“আমি খুশি কারণ আমার পুরো পরিবার এখানে এসেছে এবং আমি সবসময় আমার সেরাটা দিতে চাই। এই বছরটি খুব ইতিবাচক ছিল এবং ভাগ্যক্রমে আমরা জয় দিয়ে শেষ করেছি। পারফরম্যান্স, গোল ও ম্যাচের দিক থেকে এটা অসাধারণ একটা বছর ছিল। আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে হবে এবং প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে হবে।”
“সবাই আমাদের হারাতে চায়। আর্জেন্টিনা জাতীয় দল সবসময়ই প্রধান আলোচনার বিষয়। উন্নতি করার মতো অনেক কিছু আছে, তবে আমাদের এই পথেই চলতে হবে।”লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে শীর্ষে থেকে বছর শেষ করল আর্জেন্টিনা। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট তাদের। ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উরুগুয়ে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে পেরু।যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় আগামী বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে সরাসরি জায়গা পাবে বাছাইপর্বের প্রথম ছয় দল।