স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ নভেম্বর : দেশের জার্সি গায়ে সঞ্জু স্যামসন কেরিয়ারের একটা সময় যত না সাফল্য পেয়েছেন, তার চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বেশি। আর সেই ব্যর্থতার নির্যাতন এতটাই অসহনীয় ছিল যে, নিজের ক্ষমতাকে পর্যন্ত একটা সময় সন্দেহ করতে শুরু করে দিয়েছিলেন স্যামসন। কিন্তু রোহিত শর্মা উত্তর ভারতের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ব্যক্তিগত চেষ্টায়, টিমের কোচদের প্রয়াসে, সঞ্জু হারিয়ে যাননি। বরং পরপর দু’টো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বসেছেন, যা রেকর্ড! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গত কালের ৫০ বলে ১০৭ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস রীতিমতো রোমহর্ষক। যা ভারতকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬১ রানে জিতিয়ে দিয়েছে।
‘‘জীবনে বহুবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছি আমি। কী জানেন, ব্যর্থ হতে থাকলে মানুষ নিজেকে সন্দেহ করতে শুরু করে। আমারও তাই হয়েছিল। আমিও ভাবতে শুরু করেছিলাম, সত্যিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যোগ্য তো? কারণ, আইপিএলে ভালো পারফর্ম করছিলাম আমি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছু করতে পারছিলাম না। তাই বলছি, নিজের ক্ষমতাকে আমিও সন্দেহ করতে শুরু করে দিয়েছিলাম। তবে এটাও ঠিক, এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলার পরে আমি জানি, আমার ক্ষমতা কতটা,’’ প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বলে গিয়েছেন সঞ্জু। দ্রুত যিনি যোগ করে বলেছেন, ‘‘আমি বুঝে গিয়েছি যে, উইকেটে যদি কিছুক্ষণ থাকতে পারি, তা হলে স্পিনার-পেসার, সবার বিরুদ্ধেই রান করে দিতে পারব। অবদান রাখতে পারব। ম্যাচ জেতাতে পারব। এটাই বাস্তব। এটা ঘটনা যে, জীবনে ব্যর্থতা আসবেই। কিছু করার নেই। কিন্তু একই সঙ্গে উত্তরণটাও বড় সুন্দর। আমি নিজেকে সেটাই বোঝাই। বোঝাই যে, ভালো সময় ঠিকই আসবে।’’
আজ রবিবার, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামছে ভারত। এবং দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে ভারতের সবচেয়ে বড় স্বস্তির নাম যদি হয় সঞ্জু স্যামসন, তা হলে সবচেয়ে বড় দুর্ভাবনার নাম অভিষেক শর্মা। যিনি একাধিক সুযোগ পেয়েও ক্রমাগত ব্যর্থ হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেও রান করতে পারেননি তিনি। শেষ সাত টি-টোয়েন্টি ইনিংসে যাঁর রান মাত্র ৬৬। তাই দ্রুত অভিষেক সমস্যার সমাধান দরকার। যদিও সঞ্জুকে নিয়ে এতটাই এই মুহূর্তে রোমাঞ্চিত ভারতীয় টিম যে, অভিষেক-কাঁটা খুব বেশি অস্বস্তি তৈরি করতে পারছে না।