স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ অক্টোবর। চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতে পরেরবার খেলবেন কিনা নিশ্চয়তা নেই! এমন দোলাচলে ক্রিকেটদেবী ফেরালেন না মহেন্দ্র সিং ধোনিকে । কলকাতার গঙ্গাপ্রাপ্তি করিয়ে ‘বিজয়া’র হাসি হাসলেন রাঁচির মাহি। অধিনায়ক হিসেবে ৩০০তম ম্যাচ নেমে শুধু জিতলেনই না, চতুর্থবার আইপিএল ঘরে তুললেন। ফাইনালে ২৭ রানে পর্যুদস্ত কলকাতা। আগেরবার ছিটকে গিয়ে সমর্থকদের ফিরে আসার কথা দিয়েছিলেন ‘থালা’। শুধু ফিরে আসাই নয় দুবাইয়ে ধোনিবাহিনীর বজ্রনির্ঘোষ দেখে মনে হবে,’এভাবেও ফিরে আসা যায়!’
ইদানীং কেকেআর মালিকের উপরে ‘শনির দৃষ্টি’। নইলে ১০ ওভার ৪ বলে ওপেনিং জুটিতে ৯১ রান তুলে ফেলার পরে তাসের ঘরে মতো ভেঙে যেতে পারে নাইটদের ব্যাটিং! ফাইনালে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারল না কেকেআর। শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শুভমন গিল। ভেঙ্কটেশের ক্যাচ দু’বার ছাড়েন ধোনি। মনে হচ্ছিল, অধিনায়কের ক্যাচ ফস্কানোর দাম দিতে হবে চেন্নাইকে। দ্রুতগতিতে অর্ধ-শতরান করেন দুই তরুণ নাইট। তাঁরা ফিরতেই কার্যত আত্মসমর্পণ করলেন বাকি ব্যাটারা। ৯১ রানে আইয়ারকে ফিরিয়ে প্রথম হামলা করেন শার্দুল ঠাকুর। এ যেন সেই দীপাবলির টুনি আলোর চেন! একটা আলো নিভতেই বাকিগুলিও দপ করে বুজে গেল। ওই একই ওভারে আউট হন নীতিশ রানা। পরের ওভারেই সুনীল নারিনকে তুলে নেন রবীন্দ্র জাডেজা। বাকিটা খালি আসা আর যাওয়া। আরও ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক ইয়ন মর্গান। গোটা আইপিএলে তাঁর কাছ থেকে অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্স পেল না কলকাতা। ফাইনালেও জ্বলে উঠতে পারলেন না মর্গান। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে শেষ হয় কলকাতার ইনিংস। তবে পরাজয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ১৫ ওভারেই। আর দিনের শেষে ধোনি বুঝিয়ে দিলেন, সিংহ বৃদ্ধ হলেও সিংহই থাকে।
কলকাতার বোলিংও এ দিন সাদামাটা হয়েছে। তিন-তিনটে হাফ সেঞ্চুরি যুগলবন্দি করেছেন চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। ফাফ ডুপ্লেসির এবং ঋতুরাজের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬১ রান। এর পর উথাপ্পাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার বোলিংকে রীতিমতো কচুকাটা করেছেন ডুপ্লেসি। ৫৯ বলে তোলেন ৮৬ রান। শেষ বলে তাঁকে যখন প্যাভিলিয়নে ফেরাতে সক্ষম হলেন শিভম মাভি তখন স্কোর বোর্ড দেখাচ্ছে চেন্নাই- ২০ ওভারে ১৯২।