স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ অক্টোবর: গত মৌসুমে সিটির টানা চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ জয়ে বড় অবদান রাখেন রদ্রি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনের শিরোপা জয়েও তিনি রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, চোটের কারণে ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে না খেলেও জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।আর এসবেরই স্বীকৃতি হিসেবে, প্যারিসে সোমবার রাতে রেয়াল মাদ্রিদের তিন খেলোয়াড়কে হারিয়ে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ এর পুরস্কার ব্যালন দ’র জেতেন ২৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকাকালীন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগের কোনো ফুটবলার বর্ষসেরার পুরস্কারটি জিতলেন।মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গুয়ার্দিওলা বললেন, রদ্রির অর্জনে ক্লাবের সবাই খুব খুশি।“গোটা ম্যানচেস্টার সিটি, আমাদের সমর্থকরা, আমরা তাকে নিয়ে খুব গর্বিত। কয়েক বছর আগে আমরা এটা কল্পনাও করতে পারিনি যে, একজন (সিটি) খেলোয়াড় এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি জিততে পারে। তার সঙ্গে এই মুহূর্তে থাকতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আশা করি, এটা তাকে পরের মৌসুমের জন্য ভালোভাবে ফিরে আসার শক্তি জোগাবে।”
“ক্লাব হিসেবে আমরা খুব খুশি যে, রদ্রি এই ক্লাবের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কারটি জিতেছে। এটা প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (জয়ের) মতো। আমরা খুব গর্বিত।”১৯৬০ সালের পর স্পেনের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ব্যালন দ’র জিতলেন রদ্রি। পুরস্কারটি রেকর্ড আটবার জেতা লিওনেল মেসির পেছনে থেকে টানা তিনবার তৃতীয় হয়েছিলেন শাভি এর্নান্দেস। ২০১০ সালে দ্বিতীয় হয়েছিলেন আরেক স্প্যানিশ গ্রেট আন্দ্রেস ইনিয়স্তা।
পুরস্কারটি রদ্রির প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করেন সিটির স্প্যানিশ কোচ।“আমি মনে করি, রদ্রি পুরোপুরি সিটির প্রতিনিধিত্ব করে, অবশ্য স্প্যানিশ ফুটবলেরও এবং বিশ্ব ফুটবলে তাদের যে প্রভাব… গত ১০, ১৫ বছরে তাদের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ, শুধু ট্রফি জেতাই নয়, তারা যেভাবে খেলে সেটাও।“হয়তো ওই মুহূর্তে শাভি ও ইনিয়েস্তারও এটি প্রাপ্য ছিল। আমি মনে করি স্প্যানিশ ফুটবলের যা প্রাপ্য, সেটিই হয়তো রদ্রি পেয়েছে।”গত মাসে এন্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে (এসিএল) পাওয়া চোটে এই মৌসুম শেষ হয়ে গেছে রদ্রির। প্যারিসে ক্রাচে ভর দিয়ে তিনি মঞ্চে ওঠেন পুরস্কার নিতে।