স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৫ অক্টোবর: মজাটাই সেখানে। মরিনিয়োর সেসব কথার মধ্যেই আছে সূ্ক্ষ্ন খোঁচা আর বিদ্রূপের সুর। কৌতুকের সুরেই রেফারিকে একহাত নিলেন তিনি।ইউরোপা লিগের ম্যাচটিতে বৃহস্পতিবার মরিনিয়োর সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে তার বর্তমান ক্লাব ফেনারবাচে।কোচ হিসেবে মরিনিয়ো যেমন খ্যাতিমান, তেমনি বর্ণময় চরিত্র হিসেবেও পরিচিত তার বরাবরের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য বিতর্কে জড়িয়েছেন, কথার তিরে বিদ্ধ করেছেন অনেককে। সেখানেই যোগ হলো নতুন অধ্যায়েরম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের বয়স মিনিট পনের হওয়ার পর পেনাল্টির দাবিকে ঘিরে রেফারির সঙ্গে বেশ এক চোট তর্ক করতে দেখা যায় মরিনিয়োকে। পরে তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়।ম্যাচের পর টিএনটি স্পোর্টসের আলাপচারিতায় এই প্রসঙ্গে শুরুতে কথা বলতে চাননি মরিনিয়ো। তবে একটু পর ঠিকই বেরিয়ে এসেছে তার আপন রূপ।
“আমাদেরকে অবিশ্বাস্য কিছু কথা সে শুনিয়েছে। সে বলেছে, বক্সের ভেতর যা হচ্ছে, সেসব যেমন সে দেখেছে, ঠিক একই সময়ে টাচলাইনে আমার আচরণও দেখেছে। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই, কারণ তার ক্ষমতা, এই পরোক্ষ দৃষ্টি একদম অসাধারণ। খেলা চলছে, ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতি, তখন তার এক চোখ বক্সের ভেতর পেনাল্টি পরিস্থিতির ওপর, আরেক চোখ আমার ওপর।”“এই ব্যাখ্যাই আমাকে দিয়েছে সে। এজন্যই সে বিশ্বের সেরা রেফারিদের একজন।”এই লাল কার্ড নিয়ে আপিল করবেন না জানিয়ে এখানেও খানিকটা খোঁচা দিয়ে রাখলেন তিনি।“যদি আপিল করি, ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে যাব। সেভিয়া-রোমা ফাইনালের পর থেকে আর কিছু করার নেই।”
গত বছরের মে মাসে ইউরোপা লিগের ফাইনালে রেফারিকে ‘অপমানজনক’ কথা বলা চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেই সময়ের রোমা কোচ মরিনিয়োকে। এবার পর্তুগিজ এই কোচের ইঙ্গিত সেদিকেই।এমনকি ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা উয়েফাকেও খোঁচা মারতে ছাড়েননি তিনি।“সবচেয়ে ভালো যেটা করতে পারি, যখন ফেনারবাচে ছেড়ে দেব, এমন একটা ক্লাবে যাব, যারা উয়েফার প্রতিযোগিতায় খেলে না। কাজেই বছর দুয়েক পর যদি ইংল্যান্ডের নিচুর সারির কোনো ক্লাবের কোচের প্রয়োজন পড়ে, আমি তৈরি।”