স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ অক্টোবর: চোট কাটিয়ে ফেরার পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল এটি। দেশের মাঠে প্রথম। বুধবার সকালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে আর্জেন্টিনা।হ্যাট্রট্রিক করার পাশাপাশি পাঁচটি গোলে সম্পৃক্ততা ছিল মেসির। দেশের হয়ে ১৯ বছর আর প্রায় দুইশ ম্যাচে ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার একই ম্যাচে একাধিক গোল করার পাশাপাশি একাধিক গোলে সহায়তা করলেন তিনি।আন্তর্জাতিক ফুটবলে দশম হ্যাটট্রিক করে স্পর্শ করলেন তিনি দীর্ঘদিনের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকেও। দেশের হয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকার গোলসংখ্যা এখন ১১২টি।
সবকিছু ছাপিয়ে অবশ্য দেশের মাঠে ফেরার আনন্দই মেসিকে নাড়া দিচ্ছে বেশি। তার ছবি, পোস্টার, তাকে নিয়ে নানা লেখা, ব্যানার ছিল গ্যালারিতে অসংখ্য। ম্যাচজুড়ে তার নামে বারবার রব উঠেছে গ্যালারিতে। সবকিছুই ছুঁয়ে গেছে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। “এখানে খেলতে পারা ও আর্জেন্টাইন সমর্থকদের অনুরাগের ছোঁয়া পাওয়ার অনুভূতি দারুণ। যেভাবে তারা আমার নাম ধরে চিৎকার করে, আমাকে তা আবেগময় করে তোলে ও তাড়না জোগায়। সমর্থকদের সঙ্গে এই সংযোগ আমরা সবাই উপভোগ করি ও দেশের মাঠে খেলতে আমরা ভালোবাসি।”
এই মানুষগুলি আর কতদিন দেখতে পাবে মেসির জাদু? যে প্রশ্নটি গত কিছুদিনে বারবার উঠেছে, এই ম্যাচ শেষে তা ছুটে গেল আবার, ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে সঙ্গী হবেন তিনি? মেসির উত্তর আগের মতোই।“ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো তারিখ বা সীমা ঠিক করিনি আমি। আপাতত সবকিছু উপভোগ করছি। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আমি বেশি আবেগময় এবং লোকের ভালোবাসা লুফে নিচ্ছি, কারণ ভালো করেই জানি, আমার শেষ কিছু ম্যাচ হতে পারে এগুলো।”
আপাতত শুধু উপভোগের স্রোতে অবগাহন করতে চান তিনি। জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমে এলেই ভালো লাগায় পূর্ণ হয়ে যায় তার হৃদয়। সতীর্থদের ছোঁয়ায় এই ৩৭ বছর বয়সেও যেন শিশু হয়ে ওঠেন তিনি।“এই সময়ে থাকতে পারা ও মুহূর্তগুলি উপভোগ করতে পারা দারুণ আনন্দময়। তরুণ সতীর্থদের সঙ্গে থেকে এই বয়সেও নিজেকে বাচ্চা মনে হয় আমার। অনেক সময় হাস্যকর অনেক কিছু করে ফেলি, কারণ এতটাই স্বস্তিময় আবহে আছি। যতক্ষণ পর্যন্ত এরকম অনুভূতি থাকবে এবং দলে অবদান রাখতে পারব, উপভোগ করে যেতে চাই (জাতীয় দলে খেলা)।”
আর্জেন্টনাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি আগের বহুবারের মতোই আবার বললেন, মেসির শেষ সহসাই দেখতে চান না তিনি।“তার কাছে আমার কেবল একটিই চাওয়া, যতদিন সম্ভব যেন সে খেলে যায়। ফুটবল মাঠে তাকে দেখতে পারাটাই দারুণ আনন্দের। আমাদেরকে মুগ্ধ করা কখনোই থামায় না সে।”