স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ আগস্ট: বোর্দোয় কোয়ার্টার-ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারায় ফ্রান্স। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন জ্যাঁ-ফিলিপে মাতেতা। আর্জেন্টিনার একের পর এক আক্রমণের মুখে ওই গোলটি যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখে কাঙিক্ষত জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।দুই দলই এবার মুকুট ফিরে পাবার মিশনে। ফরাসিরা প্রথম এবং সবশেষ অলিম্পিকসের সোনা জিতেছিল ১৯৮৪ সালের আসরে। দুটি সোনার সবশেষটি আর্জেন্টিনা পেয়েছিল ২০০৮ সালে, বেইজিংয়ের আসরে। সেরা আটের মঞ্চেই তা ফিরে পাওয়ার আশা গুড়িয়ে গেল হাভিয়ের মাসচেরানোর দলের।
পঞ্চম মিনিটে ওলিসের কর্নারে বক্সের ভেতর থেকে মাতেতা দারুণ হেডে জাল খুঁজে নিলে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। এরপর একের পর এক আক্রমণ শাণাতে থাকে আর্জেন্টিনা, কিন্তু মেলেনি গোল।ম্যাচে ৭০ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলা আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধেও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ শাণাতে থাকে। এরই মধ্যে ৮৩তম মিনিটে ওলিস জালে বল জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুণের উৎসবে মেতে ওঠে ফ্রান্স। কিন্তু ভিএআরে তার আগে বক্সে ফাউলের ঘটনা ধরা পড়ায় হয়নি গোল। তাতে আর্জেন্টিনার ম্যাচে ফেরার আশা বেঁচে থাকে।
যোগ করা ১০ মিনিটে ফ্রান্সের রক্ষণে প্রচন্ড চাপ দেয় আর্জেন্টিনা; কিন্তু এচেভেরির দূরপাল্লার শট যায় বাইরে, একটু পর গন্দুর দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট আটকান ফরাসি গোলরক্ষক।যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে বক্সের ভেতরে ভালো জায়গায় থাকা গন্দু উড়িয়ে মেরে নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ। অন্তিম সময়ে ফরাসি অধিনায়ক মাতেতার শট ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরলেও জয়ের আনন্দে ভাটা পড়েনি স্বাগতিকদের।ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি। মাঠে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর টালেনেও দুই পক্ষের মধ্যে ফের শুরু হয় সংঘর্ষ।২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ের পরও তৈরি হয়েছিল একই পরিস্থিতি। লুসাইল থেকে বোর্দোয় এসেও হলো সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।