স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ জুলাই: তবে গত প্রায় সাত দশক ধরেই অবশ্য এই অবস্থা অস্ট্রিয়ার। যে কোনো বড় টুর্নামেন্টে (ইউরো, বিশ্বকাপ) তারা গ্রুপ পর্ব পেরোলেও আর সামনে এগোতে পারে না। এই ৭০ বছরে নকআউট মানেই যেন অস্ট্রিয়ার বিদায়।যার সবশেষ নজির এবারের ইউরোর শেষ ষোলোয়। লাইপজিগে মঙ্গলবার রাতে সেরা আটে ওঠার লড়াইয়ে তুরস্কের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে অস্ট্রিয়া। দারুণ জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে তুরস্ক।
অথচ ম্যাচজুড়ে দাপুটে ফুটবলই খেলে অস্ট্রিয়া। বল দখলে এগিয়ে থাকা দলটি দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য করে। প্রথম অর্ধে গোলের উদ্দেশ্যে ছয়টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে না পারা দলটি দ্বিতীয়ার্ধে আরও ১৫টি শট নেয়, লক্ষ্যে থাকে পাঁচটি।কিন্তু কাজের কাজ গোল করতে পারে মাত্র একবার। চার মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল তারা। কিন্তু বমগার্টনারের হেড দুর্দান্ত ক্ষীপ্রতায় ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন তুরস্ক গোলরক্ষক। বেজে যায় অস্ট্রিয়ার বিদায় ঘণ্টা।এবার ভিন্ন পরিণতির আশায় ছিলেন রাংনিক।
‘ডি’ গ্রুপে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসকে টপকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় নাম লিখিয়েছিল তার দল। কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রতিপক্ষ তুরস্ককে কয়েক মাস আগে প্রীতি ম্যাচে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। কিন্তু নকআউটে আবারও পারল না অস্ট্রিয়া।নিজেদের এই বিদায় মানতে পারছেন না ৬৬ বছর বয়সী রাংনিক।“কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও প্রয়োজন। শেষ দিকে বমগার্টনারের হেডটা যদি জালে প্রবেশ করত, আমরা হয়তো ম্যাচটা জিততে পারতাম।”“ম্যাচ জেতার ঐতিহাসিক একটা সুযোগ ছিল। ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলার সুযোগ ছিল। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না, আজকে আমরা বাড়ি ফিরছি। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের এই যাত্রা চলতে থাকবে।”