স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ জুলাই: ১১ বছরের খরা কাটিয়ে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আইসিসি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারত। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর থেকেই বারবর তাদের শেষ দিকে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ার শুরুর।২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে তারা হারে শ্রীলঙ্কার কাছে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও দেশের মাঠে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা বিদায় নেয় সেমি-ফাইনাল থেকে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয় ফাইনালে। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবারও সেমি-ফাইনালে শেষ তাদের অভিযান।
মাঝে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই কেবল নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা।সবচেয়ে বেদনাদায়ক হারের অভিজ্ঞতা হয় তাদের গত নভেম্বরে। দেশের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রবল প্রতাপে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠার পর আসল ম্যাচটিতেই হেরে বসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে।দীর্ঘ হতাশার সেই প্রহর পেরিয়ে অবশেষে এবার খরা ঘোচানো কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের স্বাদ তারা পেয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ফাইনালে জয়ের ধরনও তাদের আনন্দ বড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। ম্যাচ শেষের চার ওভার আগেও জয় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার একরকম মুঠোয়। সেখান থেকেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে তারা।ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথোপকথনে সাবেক অধিনায়ক ও টেস্ট ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন গাভাস্কার ভারতের এই শিরোপাকে তুলে ধরলেন ব্যাটসম্যানদের দৃষ্টিকোণ থেকে।
“দীর্ঘ অপেক্ষার পর এটা দারুণ এক জয়। আগে আমি সবসময়ই বলে আসছিলাম যে, ভারত বারবার ৯০ ছুঁতে পারছে, কিন্তু সেঞ্চুরি করতে পারছে না। কারণ তারা সেমি-ফাইনাল, ফাইনাল খেললেও শিরোপা জিততে পারছিল না। অবশেষে এবার তারা সেঞ্চুরি করতে পেরেছে এবং কী অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তা!”ভারতের এটি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা। প্রথম শিরোপাটি জিতেছিল তারা সেই প্রথম বিশ্বকাপে, ২০০৭ সালে। ভারত ছাড়া দুটি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের।