Sunday, September 8, 2024
বাড়িখেলাকিং’স কাপের ফাইনালে হেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রোনালদো

কিং’স কাপের ফাইনালে হেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রোনালদো

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১ জুন: ম্যাচ শেষ হতেই হাঁটু গেড়ে মাঠে মুখ লুকালেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। পরমুহূর্তে শুয়ে পড়লেন মাঠে। দুহাতে মুখ ঢেকে শিশুর মতো কাঁদতে থাকলেন মহাতারকা। সতীর্থদের সান্ত্বনাতেও সেই আবেগে বাধ মানল না। একটু পর দুই সতীর্থ তাকে সহায়তা করলে উঠে বসতে। কিন্তু হাঁটুতে হাত রেখে বসেও মাথা নিচু করে কাঁদতে থাকলেন তিনি। শেষ নয় সেখানেই। একটা পর্যায়ে চোখের জলে ভেসেই মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে গিয়ে বসলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও গালে হাত দিয়ে কাঁদতে থাকলেন ফুঁপিয়ে।পাঁচটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ফুটবলার ও টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার, ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের প্রায় সবকিছু জয়ের স্বাদ পাওয়া নায়ক ও পাঁচবারের ব্যালন দ’র জয়ী কিংবদন্তির এই কান্না সৌদি কিং’স কাপের ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর। টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ার পর এভাবেই রোনালদোর কান্নায় সিক্ত হয় জেদ্দার কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামের আঙিনা।

সৌদি প্রো লিগ জয় করে নেওয়া আল হিলাল কিং’স কাপও জিতে নেয় শুক্রবার ফাইনালে আল নাস্‌রকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে।নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ সমতায়। টাইব্রেকারে রোনালদো গোল করেন ঠিকই। তবে আল নাস্‌রের শেষ দুটি শট ঠেকিয়ে আল হিলালের নায়ক গোলকিপার ইয়াসিন বোনো।আলেকসান্দার মিত্রোভিচের গোলে সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় আল হিলাল। ব্রাজিলিয়ান ম্যালকমের ক্রসে খুব কাছ থেকে হেড করে বল জালে জড়ান সার্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে রোনালদোর দুর্দান্ত একটি বাইসাইকেল কিক বাধাগ্রস্ত হয় পোস্টে। অবশ্য তিনি অফসাইডও ছিলেন।

৫৬তম মিনিটে গোলকিপার দাভিদ ওসপিনা লাল কার্ড দেখায় বিপদ আরও বাড়ে আল নাস্‌রের। তবে ১০ জনের দল নিয়ে লড়াই চালিয়ে যায় তারা। রোনালদোর একটি ফ্রি কিক দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন বোনো। নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে নাটকীয়তা জমে ওঠে তুমুলভাবে।৮৭তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আল হিলালের আলি আল-বুলায়হি। পরের মিনিটই আয়মান ইয়াহিয়ার গোলে সমতা ফেরায় আল নাস্‌র। ৯০তম মিনিটে লাল কার্ড পেয়ে বেরিয়ে যান আল হিলালের ফরাসি ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি। তবে ৯ জন নিয়েও অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করেনি আল হিলাল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেও জিতে যায় তারা।

চোটের কারণে গত অক্টোবর থেকেই মাঠের বাইরে থাকা নেইমার যথারীতি খেলতে না পারলেও লিগ শিরোপার মতো এ দিনও ট্রফি জয়ের উদযাপনে সঙ্গী ছিলেন দলের।রোনালদোর জন্য মৌসুম শেষ হলো হতাশায়। সৌদি প্রো লিগে প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌসুমেই ৩৫ গোল করে তিনি গড়েছেন এই লিগে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড। ভিন্ন চারটি লিগে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হওয়ার অনন্য কীর্তিও গড়েন। কিন্তু তার দলের মৌসুম কাটল ট্রফিবিহীন। সৌদি প্রো লিগের মতো কিং’স কাপেও তারা রানার্স আপ। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা হেরে যায় কোয়ার্টার-ফাইনালে।কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে রোনালদো এখন যোগ দেবেন পর্তুগালের ইউরো দলে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য