স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৮ মার্চ: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাসাকাদজা। গত নভেম্বরে উগান্ডা ও স্বাগতিক নামিবিয়ার কাছে হেরে তৃতীয় হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাই উতরাতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে। বাছাইয়ের পর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজেও দল ব্যর্থ হওয়ায় ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেছিল কোচ ডেভ হাটন। এরপর এবার এলো মাসাকাদজার এই ঘোষণা।পদত্যাগপত্রে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্যর্থতার কথাই উল্লেখ করেছেন ৪৬ বছর বয়সী সাবেক এই ব্যাটসম্যান। “আমাদের ক্রিকেটের সাফল্য-ব্যর্থতা ও আমার দায়িত্ব নিয়ে সতর্কভাবে বিবেচনার পরই এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। আমার সময়ে যদিও অগ্রগতি যথেষ্টই হয়েছে, তার পরও এটা সত্যি যে, উগান্ডার কাছে হতাশাজনক পরাজয়ের কারণে আমরাই একমাত্র পূর্ণ সদস্য দেশ, যারা আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারছি না।”
“এটা আসলেই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে তলানির অধ্যায় এবং ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে পুরো দায় নিচ্ছি আমি।”মাসাকাদজার সময়ে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিল জিম্বাবুয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় সেই আসরে সুপার টুয়েলভ-এ উঠেছিল তারা। তবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইয়েও তারা বাদ পড়ে। এই দুই আসরের বাছাইপর্ব সফলভাবে আয়োজন করতে পারা অবশ্য মাসাকাদজার সাফল্যের মধ্যেই পড়ে। এছাড়াও ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগ, জিম-আফ্রো টি-টেন, মেয়েদের ফিফটি-ফিফটি চ্যালেঞ্জ ও উইমেন’স টি-টোয়েন্টি কাপ চালু করার পেছনে তার ছিল বড় ভূমিকা। জিম্বাবুয়ের হয়ে তিনশর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা একমাত্র ক্রিকেটার মাসাকাদজা অবশ্য এই পদ ছাড়লেও ভিন্ন কোনো দায়িত্বে বোর্ডে কাজ করতে খুবই আগ্রহী। “সিদ্ধান্তটি নেওয়া অনেক কঠিন ছিল। তবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আমি পুরোপুরি নিবেদিত। ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করব আমরা। ভিন্ন যে কোনো দায়িত্বে এই সংগঠনে সম্পৃক্ত হতে মুখিয়ে থাকব আমি।”