স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৭ মার্চ: কদিন আগেই ৫০০ টেস্ট উইকেটের কীর্তি ছোঁয়া অশ্বিন আরও একটি অর্জনে রাঙালেন নিজেকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ধারামসালা টেস্ট দিয়ে পূর্ণ হলো তার একশ টেস্ট। টেস্ট শুরুর আগে বৃহস্পতিবার তার হাতে ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। অশ্বিনের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী-সন্তানেরাও।ভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই, শততম টেস্টের আগে অশ্বিনকে নিয়ে স্তুতির জোয়ার বইছে ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে। সেখানে সামিল সর্বকালের সেরা অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যানদের একজন পন্টিংও। আইপিএলে তিনি কোচ হিসেবে কাছ থেকেই দেখেছেন অশ্বিনকে।আইসিসি রিভিউয়ে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক তুলে ধরলেন তার সেই অভিজ্ঞতার কিছুটা। সেখানেই ফুটে উঠল, অশ্বিন স্রেফ একজন ক্রিকেটারের চেয়েও বেশি কিছু।“যে কোনো কন্ডিশনেই সে (অশ্বিন) স্পিন বোলিংয়ের মাস্টার। কোনো সংশয় নেই, সে অবিশ্বাস্য এক ক্রিকেটার। দিল্লিতে গোটা দুই মৌসুম তাকে কোচিং করানোর সুযোগ হয়েছিল আমার এবং তার সঙ্গে কাজ করে দারুণ ভালো লেগেছে।”
“খেলাটা নিয়ে তার ভিন্ন অনেক ধারণা ও দর্শন আছে, যা আমার ভালো লাগে সত্যিই। সবসময়ই সে কিছুটা ভিন্নভাবে কাজ করেছে এবং নিজের পথে এগিয়েছে। তবে বোলার হিসেবে সবসময় নিজেকে বিবর্তিত ও বিকশিত করেছে সময়ের সঙ্গে।”নিজেকে প্রতিনিয়ত বদলে ফেলা, সময়ের সঙ্গে তাল মেলানো এবং ব্যাটসম্যানদের চেয়ে এগিয়ে থাকার তাড়না, এসব দিয়ে নিজেকে সবসময় আলাদা করে তুলেছেন অশ্বিন। পন্টিং বললেন, মাঠে নেমে এমনকি প্রতিটি ডেলিভারির আগেও নতুন কিছু ভাবেন এই স্পিনার।“তাকে কোচিং করানোর সময় এই ব্যাপারটিই আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। সে বোলিং মার্কের প্রান্তে দাঁড়িয়ে কিছু না কিছু ভাববে, নতুন কিছু বের করবে, হয়তো অ্যাকশনে একটু পরিবর্তন আনবে বা গ্রিপ বদলাবে কিংবা ভিন্ন কোনো ডেলিভারি করবে। কখনোই সে এমন একজন নয়, যে কি না নতুন পথের খোঁজে হয়রান হয়ে ফিরবে।”চলতি সিরিজেও নিজের সেই ছাপ রেখেছেন অশ্বিন। প্রথম চার টেস্টে তার শিকার দলের সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট।ধারামসালা টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। অশ্বিনের ভূমিকাও তাই দেখা যাবে দ্রুতই।