Wednesday, February 12, 2025
বাড়িখেলাস্মিথকে এত খুশি আগে কখনও দেখেননি কামিন্স

স্মিথকে এত খুশি আগে কখনও দেখেননি কামিন্স

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ জানুয়ারি: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যাডিলেইড টেস্ট দিয়ে বুধবার শুরু হবে স্মিথ ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এই নতুন অধ্যায়। লাল বলের স্বীকৃতি ক্রিকেটে ১৬ বছরের পথচলায় ১৬৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১০৫ টেস্ট খেলার পর ৩৪ বছর বয়সে এসে এই সংস্করণে প্রথমবার ওপেন করবেন তিনিডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর স্মিথকে ওপেনিংয়ে তুলে আনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তোলপাড় চলছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। কামিন্স নিজেও শুরুতে এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত ছিলেন না। পাকিস্তানে বিপক্ষে সবশেষ সিরিজের সময় ওপেন করার আগ্রহের কথা প্রকাশ্যে জানান স্মিথ। তবে ওই সিরিজ শেষে কামিন্স সরাসরিই বলেন, স্মিথকে ওপরে এনে থিতু ব্যাটিং অর্ডার অস্থির করে তোলার কোনো ইচ্ছে তার নেই।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্মিথকে ওপেনিংয়ে খেলানোর সিদ্ধান্তই হয়। সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় কামিন্সও ছিলেন। অ্যাডিলেইড টেস্ট শুরু আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সেটির কারণ ব্যাখ্যা করলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। স্মিথের আগ্রহের তীব্রতা যে এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে, সেটিও ফুটে উঠল তার কথায়।“খেলাটায় সম্ভাব্য সবকিছু অর্জন করে ফেলা একজন ক্রিকেটার যখন নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে এতটা রোমাঞ্চিত থাকেন, তখন সেটিকে গুরুত্ব দিতেই হয়। এখানে যে সে কিছুটা ভিন্নভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে, তা নিয়ে তার ভাবনা এখনই চলতে শুরু করেছে।“তাকে কখনোই এতটা খুশি ও প্রাণশক্তিতে ভরপুর দেখিনি আমি, গত দিন দুয়েক নেটের আশেপাশে যেভাবে দেখেছি। মাঠে নামতে তর সইছে না তার। তাছাড়া নতুন বলে তার জন্য রান তোলার বিকল্প পথও হয়তো বেশি থাকবে। এটা তাকে রোমাঞ্চিত করে তুলেছে। কাজেই এই সিদ্ধান্ত যৌক্তিক মনে হয়েছে এবং গ্রিনিকে (ক্যামেরন গ্রিন) তার জায়গা দেওয়ার ব্যাপারটিও আছে, যেখানে সে সফল হতে পারে বলে আমরা মনে করি।”

স্মিথকে ওপেনিংয়ে তুলে আনায় এখন চারে ব্যাট করবেন ক্যামেরন গ্রিন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে পজিশনে খেলে তিনি দারুণ সফল।নতুন চ্যালেঞ্জে স্মিথের উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি রাখা যায় সম্ভাব্য সুযোগটি না পেয়ে ক্যামেরন ব্যানক্রফট, মার্কাস হ্যারিস ও ম্যাট রেনশর হতাশা। রেনশ তবু বিকল্প ব্যাটসম্যান হিসেবে স্কোয়াডে আছেন, কিন্তু বাকি দুজন নিজেদের প্রত্যাখ্যাত ভাবতেই পারেন।শেফিল্ড শিল্ডে গত মৌসুমে সর্বোচ্চ রান করা ব্যানক্রফট এবারও শীর্ষে আছেন এখনও পর্যন্ত। হ্যারিস তো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতেই আছেন, যেটির মানে দলের পরিকল্পনায় তিনি ছিলেন।স্মিথকে নিয়ে তার নিজের মতো রোমাঞ্চিত আরও অনেকেই, তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত ওপেনারদের উপেক্ষা করা তথা প্রথাগত সিস্টেমের বাইরে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে সমালোচনাও হচ্ছে বেশ।

হ্যারিস ও ব্যানক্রফটের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করেছেন কামিন্স। ৩১ বছর বয়সী দুই ব্যাটসম্যানের জন্য আশার দুয়ারও খোলা রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।“প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তারা দুজন যা করছে, আমরা তা দারুণ পছন্দ করি। যে দলেই তারা খেলুক, দলে তারা যা বয়ে আনে, তা আমরা ভালোবাসি। তারা একদম সঠিক কাজটিই করে যাচ্ছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এবার তারা দুজনই ছিটকে গেছে। তাদের জন্য বার্তাটি ছিল (ফোনে), ‘বদলে যেও না।”“আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে কোনো সময়ই সুযোগ আসতে পারে। যে কেউ চোটে পড়তে পারে। এই দলের সবাই আজীবন খেলবে না। মার্কাস (হ্যারিস) ও ক্যাম (ব্যানক্রফট) এখনও তুলনামূলকভাবে তরুণ, রেনার্সেরও (২৭ বছর বয়সী রেনশ) বয়স বেশি নয়। কাজেই যখনই কোনো পর্যায়ে কোনো সুযোগ আসবে, তাদের কোনো একজন সরাসরি চলে আসবে এবং ভালো করবে বলে বিশ্বাস আমাদের।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য