Saturday, July 27, 2024
বাড়িখেলানিজে না খেললেও ভারতের আরেকটি বিশ্বকাপ জয় দেখতে চান অশ্বিন

নিজে না খেললেও ভারতের আরেকটি বিশ্বকাপ জয় দেখতে চান অশ্বিন

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, আগরতলা ,১৬ আগস্ট: ২০১১ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন অশ্বিন। দলের মূল স্পিনার তখনও হরভজন সিং। অশ্বিন বেশির ভাগ ম্যাচেই ছিলেন একাদশের বাইরে। দুটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে খারাপ করেননি। গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ও কোয়ার্টার-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলে দুই ম্যাচেই নেন দুটি করে উইকেট। পরে ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দলের নিয়মিত সদস্য। বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও বেশ ভালো পারফর্ম করেন। ৮ ম্যাচে ওভারপ্রতি মাত্র ৪.২৮ রান দিয়ে তার শিকার ছিল ১৩ উইকেট। তবে ভারত হেরে যায় সেমি-ফাইনালে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তিনি সুযোগ পাননি খেলার। এবার ঘরের মাঠের বিশ্বকাপেও অতি নাটকীয় কিছু না হলে তাকে থাকতে হবে দর্শক হয়েই। সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি তিনি খেলেছেন গত বছরের জানুয়ারিতে। 

সময়ের সেরা স্পিনারদের একজন তিনি। ওয়ানডেতে তার পারফরম্যান্সও খারাপ নয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, এই সংস্করণে সুযোগ না পাওয়ায় আক্ষেপ আছে কি না। তিনি এসবের ধারেকাছেও গেলেন না। “এটা আমার ভালোই লাগে না (এই ভাবনা)… কারণ, দল নির্বাচন করা আমার কাজ নয়। অনেক আগেই আমি ঠিক করেছি, যা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেসব নিয়ে ভাবতেও যাব না। নিজের জীবন ও ক্রিকেট নিয়ে সত্যিই খুব ভালো অবস্থায় আছি আমি এখন এবং আমার চিন্তা-ভাবনা থেকে নেতিবাচকতা সবসময় দূরে রাখার চেষ্টা করি।” সাক্ষাৎকারের শেষ পর্যায়ে অবশ্য বিশ্বকাপ নিয়ে তার স্বপ্নের কথা জানালেন ৩৬ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার। 

“আমি বর্তমানে বাঁচতে ভালোবাসি এবং আমার নিজের কোনো অপূর্ণতা নেই। তবে এটা সত্যি যে, ভারতকে আবার বিশ্বকাপ জিততে দেখতে আমার ভালো লাগবে, সেটা এমনকি আমি না খেললেও।” ওয়ানডে দলের বাইরে থাকলেও টেস্টে এখনও তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বিশেষ করে দেশের মাঠে। ভারতের টেস্ট দলের জন্য পরবর্তী বড় চ্যালেঞ্জ আগামী জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কোচিং ও বেন স্টোকসের অধিনায়কত্বে আগ্রাসী ঘরানার ক্রিকেট ‘বাজবল’ দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে তারা। অশ্বিন এখন থেকেই দারুণ রোমাঞ্চিত সেই লড়াইয়ের জন্য। ‘বাজবল’ চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে মুখিয়ে আছেন তিনি। 

“ইংল্যান্ড খুবই আকর্ষণীয় ঘরানার ক্রিকেট খেলছে, যা বিশ্বজুড়ে অনেককেই রোমাঞ্চিত করছে। তবে আমরাও সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ধারাবাহিক ও খুবই সফল। তাদের (ইংলিশদের) এখানে আসার অপেক্ষায় তর সইছে না আমার এবং আমার মনে হয় না, তারা খুব একটা পিছপা হবে। তারা যেভাবে খেলে চলেছে, এখানে এসেও সেভাবেই খেলবে। যদি এটা বলি যে, এখন ইংল্যান্ডকে হারানোই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত চ্যালেঞ্জ, তাহলে মোটেও তা বাড়াবাড়ি হবে না।” নেতিবাচক ভাবনা থেকে যে তিনি দূরে থাকতে চান, তা বোঝা গেল আরেকটি প্রশ্নের উত্তরেও। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরের টেস্টে এক স্পিনার খেলানো হলে অশ্বিনকে বাইরে রেখে রবীন্দ্র জাদেজাকেই বেছে নিয়েছে ভারত। কিছুদিন আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এই অফ স্পিনারকে একাদশে না রাখায় আলোচনা-সমালোচনাও কম হয়নি। 

তবে ৯৪ টেস্টে ৪৮৯ উইকেট শিকারি ও ৩ হাজারের বেশি রান করা ক্রিকেটার এখানেও ভাবছেন ইতিবাচকতা নিয়েই। “আরেকটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও দেখা যায়, কজন ক্রিকেটার ৯৪ টেস্ট খেলতে পেরেছেন! সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপারটি এমন হয়েছে যে, দুজন মানসম্পন্ন স্পিনার আছে দলে, আমি ও জাদেজা, এবং সৌভাগ্যজনক বা দুর্ভাগ্যজনকভাবে, দুজনই ব্যাট করতে পারে। জাদেজার ব্যাটিং খুবই ভালো এবং সেজন্যই সে এগিয়ে থেকেছে।” “আমি এখানে আঙুল তুলতে পারি না এবং কারণ খোঁজার চেষ্টা করতে পারি না যে, কেন সুযোগ পেলাম না। ২০১৮-১৯ সালের সময়টায় নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বদলে ফেলার পর থেকে নেতিবাচক কোনা ভাবনায় যায় নাই। ড্রেসিং রুমে থাকলে অবদান রেখে যেতে যেতে চাই। যদি খেলার সুযোগ পাই, জয়ের জন্য খেলি এবং সুযোগ না পেলে ভারতের জয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করি।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য