Tuesday, February 11, 2025
বাড়িখেলালর্ডসের মেঘাচ্ছন্ন দিনে স্মিথের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহের পথে অস্ট্রেলিয়া

লর্ডসের মেঘাচ্ছন্ন দিনে স্মিথের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহের পথে অস্ট্রেলিয়া

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯জুন: অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৮৩ ওভার। ওভারপ্রতি ৪.০৮ করে রান তুলে ৫ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে বুধবার দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রতিকূল কন্ডিশনে ইনিংস শুরু করতে নেমে ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। হেড খেলেন ১৪ চারে ৭৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। ১০ চারে ৮৫ রান নিয়ে খেলছেন স্মিথ। উইকেটে তার সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স কেয়ারি। এই ইনিংসের পথে শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারার পর টেস্টে দ্রুততম ৯ হাজার রান পূর্ণ করেন স্মিথ। ১৭২ ইনিংসে এই ক্লাবে পা রেখেছিলেন সাঙ্গাকারা। অস্ট্রেলিয়ান তারকার লাগল ১৭৪ ইনিংস। দুই দলই একটি করে পরিবর্তন নিয়ে এই ম্যাচে খেলতে নামে। স্কট বোল্যান্ডের জায়গায় একাদশে মিচেল স্টার্ককে আনে অস্ট্রেলিয়া। আঙুলে চোট পাওয়া স্পিনিং অলরাউন্ডার মইন আলির বদলে ইংল্যান্ডের একাদশে ঢোকেন পেসার জশ টং। ২০০১ সালে লিডস টেস্টের পর প্রথমবার ঘরের মাঠে অ্যাশেজে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছাড়া একাদশ সাজায় ইংলিশরা। 

পেস সহায়ক কন্ডিশনে টস জিতে বোলিং নিয়ে শুরুতেই উসমান খাওয়াজাকে ফেরাতে পারত ইংল্যান্ড। কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ১ রানে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের কঠিন ক্যাচ ধরতে পারেননি স্লিপ ফিল্ডার জো রুট। কিছুক্ষণ পর নামে বৃষ্টি। এরপর খেলা শুরু হলে প্রতিপক্ষের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার আরেকটি সুযোগ পায় ইংলিশরা। এবারও গড়বড় করেন স্লিপ ফিল্ডার। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়েন অলি পোপ। দ্রুত রান তুলে থাকা ওয়ার্নার তখন ছিলেন ২৪ রানে।আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৬৬ বলে ক্যারিয়ারের ৩৫তম টেস্ট ফিফটি স্পর্শ করেন ওয়ার্নার। এই সংস্করণে ৮ ইনিংস পর পঞ্চাশের দেখা পেলেন তিনি। আরেক প্রান্তে ধীরলয়ে এগোতে থাকেন খাওয়াজা। এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার রোমাঞ্চকর জয়ে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবার অবশ্য খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। টংয়ের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকা বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন তিনি। চমৎকার ডেলিভারিটি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না থিতু হয়ে যাওয়া খাওয়াজা। অস্ট্রেলিয়ার ৭৩ রানের শুরুর জুটি ভাঙলে লাঞ্চে যায় দুই দল। বিরতির পর খেলায় আরেক দফায় বাধা দেয় বৃষ্টি। খেলা শুরু হওয়ার কয়েক ওভার পর আরেকটি দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ওয়ার্নারকে বোল্ড করে দেন অ্যাশেজে প্রথম টেস্ট খেলতে নামা টং।ক্রিজে গিয়েই দ্রুত রান তুলতে থাকেন স্মিথ। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ৪টি চারে ১৫ বলে পৌঁছে যান ২৪ রানে। এরপরই ব্রডের বলে তাকে কট বিহাইন্ড আউট দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ব্যাটসম্যান। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাটে স্পর্শ করেনি। 

এরপর যেন খোলসের মধ্যে ঢুকে যান স্মিথ। আরেক প্রান্তে সাবধানী ব্যাটিংয়ে শুরু করা মার্নাস লাবুশেন রানের গতিতে দেন দম। তিনিও জীবন পান এক দফায়। ব্রডের বলে আম্পায়ার তাকে এলবিডব্লিউ দিলে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন ৩৩ রানে থাকা ব্যাটসম্যান।স্মিথ-লাবুশেনের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। চা বিরতির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লাবুশেন। অলি রবিনসনের বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ৭ চারে ৪৭ রান করে। ভাঙে স্মিথের সঙ্গে তার ১০২ রানের জুটি। স্মিথ ১০২ বলে পা রাখেন ফিফটিতে। শুরু থেকে আক্রমণ চালিয়ে হেড ৯ চারে ৪৮ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। তাদের দুইজনের জমে যাওয়া জুটিতে যখন মনে হচ্ছিল দিন পার করে দেবে অস্ট্রেলিয়া, তখনই চমক দেখান রুট। ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান জো রুট।অফ স্পিনে চার বলের মধ্যে দুই উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান তিনি। তাকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় স্টাম্পড হন দারুণ ছন্দে থাকা হেড। রুটের শর্ট বল উড়িয়ে মেরে ব্যাটে-বলে করতে ব্যর্থ হন ক্যামেরন গ্রিন। ব্যাটের কানায় লেগে মিড-অফে ধরা পড়েন তিনি শূন্য রানে। শেষ বেলায় দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন স্মিথ-কেয়ারি। তাদের অবিচ্ছিন্ন ২৩ জুটিতে নিরাপদেই দিন শেষ করে সফরকারীরা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮৩ ওভারে ৩৩৯/৫ (ওয়ার্নার ৬৬, খাওয়াজা ১৭, লাবুশেন ৪৭, স্মিথ ৮৫*, হেড ৭৭, গ্রিন ০, কেয়ারি ১১*; অ্যান্ডারসন ১৫-৪-২৯-০, ব্রড ১৮-৪-৭২-০, রবিনসন ২১-৩-৮৬-১, টং ১৮-৩-৮৮-২, স্টোকস ৩-১-২১-০, রুট ৮-১-১৯-২)

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য