স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জুন : মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের নানা উৎসবের মধ্যে, এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল বক্রি ইদ। এই উৎসব মূলত ত্যাগের প্রতীক। এই বিশেষ দিন আল্লাহর নামে ত্যাগ করার রীতি রয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদ-অল আদাহ-র দিন আল্লাহর উদ্দেশ্যে ছাগল,গরু, উট কিংবা কোনও পশু কোরবানি দেন।
এরপর সেই মাংস রান্না করে বেশ কয়েকদিন ধরে খাওয়া -দাওয়ার রীতি প্রচলিত। কোরবানি দেওয়া ছাড়াও এদিন সকাল থেকেই মসজিদ কিংবা বাড়িতে নামাজ পড়ে দোয়া করেন বেশিরভাগ মানুষ। অন্যান্য ইদের মতো ইদ-অল-আদাহ-তেও সিমুই, পরোটা, লাচ্ছা, মাংস ইত্যাদি রকমারি খাবার একে অপরের বাড়িতে পাঠানোর রীতি রয়েছে। আবার বাড়িতে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানান বহু মানুষ। রাজ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত কোরবানি ইদ। আগরতলার গেদুমিয়া মসজিদে নামাজ পড়লেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা।নামাজ আদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া।
ইদের নামাজ আদায়ের পর মৌলানা আব্দুল রহমান এক সাক্ষাৎকারে জানান কোরবানির ঈদ মানে ত্যাগের উৎসব। এই ত্যাগের উৎসবে রাজ্যবাসিকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। তিনি আরও জানান প্রায় ৫ হাজার বছর পূর্বে হজরতে ইব্রাহিম আলি ইসলামকে আল্লাহ্-র পক্ষ থেকে ওনার একমাত্র সন্তান হজরতে ইসমাইল আলি ইসলামকে আল্লাহ্-র রাস্তায় কোরবান করার নির্দেশ হয়। এই নির্দেশ পালনে তিনি রাজি হন। এইটা একটা পরীক্ষা ছিল। ওনার সন্তানের পরিবর্তে আল্লাহ্-র পক্ষ থেকে একটি দুম্বা আসে। এই দুম্বা আল্লাহ্-র রাস্তায় কোরবানি হয়। সেই দিন থেকে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে কোরবানি ঈদ পালন করা হয় বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান পশু পালন মূল উদ্দেশ্য নয়। মূলত নিজের মনের সকল বিপরীত কার্যকলাপকে কোরবান করার প্রশিক্ষণ হচ্ছে এই কোরবানি ইদ। এইদিন ঈদের নামাজ আদায়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংখ্যা লঘু কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া। তিনি সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন সকলে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। নিজনিজ ভাষায় কথা বলে এবং নিজ নিজ জাতির উন্নয়নে কাজ করে। রাজ আমল থেকে গেদু মিয়া মসজিদে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ্-র নিকট প্রার্থনা করেন। তিনি সকল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলি বিভিন্ন সময় নানান কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এইটা সকলকে বুঝতে হবে সকলের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার অর্থ বরাদ্দ করছে। এইদিন কোরবানি ইদের নামাজ আদায় শেষে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একই সঙ্গে মনের থেকে ঘৃনা, হিংসা দূর করে ভালবাসার সঞ্চার ঘটানোই হল কুরবানী ইদের মূল উদ্দেশ্য।