Tuesday, January 14, 2025
বাড়িখেলা‘স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়ার’ তৃপ্তি নিয়ে প্রিয় আঙিনা থেকে বুসকেতসের বিদায়

‘স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়ার’ তৃপ্তি নিয়ে প্রিয় আঙিনা থেকে বুসকেতসের বিদায়

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,২৯ মে: শৈশব স্বপ্নের পথ ধরে ছুটে যে মাঠে ১৫ বছর ধরে তার দাপুটে বিচরণ, যেখানে খেলে তিনি হয়ে উঠেছেন ক্লাবের বড় ভরসা, নিজেকে তুলে নিয়েছেন সর্বকালের সেরা ডিফেন্সিব মিডফিল্ডারদের উচ্চতায়, যেখানে তিনি ভূমিকা রেখেছেন ক্লাবের অসংখ্য স্মরণীয় জয় আর অর্জনে, নিজেকেও রাঙিয়েছেন সাফল্যের স্রোতে, সেই কাম্প নউয়ে শেষ ম্যাচটি তিনি খেলে ফেললেন রোববার। রিয়াল মায়োর্কাকে এই ম্যাচে ৩-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা। এই মৌসুমে লা লিগায় তাদের আরও একটি ম্যাচ বাকি। তবে অনেক আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা ক্লাবটি শেষ ম্যাচ খেলবে প্রতিপক্ষের মাঠে। এই মৌসুম দিয়েই ক্লাব ছাড়ছেন বার্সেলোনার অনেক সাফল্যের স্বাক্ষী বুসকেতস ও ডিফেন্ডার জর্দি আলবা। ঘরের মাঠে তাদের শেষ ম্যাচ ছিল মায়োর্কার বিপক্ষে লড়াইটি। দ্বিতীয়ার্ধে যখন তুলে নেওয়া হয় বুসকেতসকে, প্রায় ৮৯ হাজার দর্শকে ভরা গ্যালারি দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায় তাকে। বিদায়ের আবেগ তার চোখ বেয়ে নামে অশ্রু-জোয়ার হয়ে। সতীর্থদের সবাইকে আলিঙ্গনে জড়ান তিনি। দর্শকর কণ্ঠে তখন তার নামেই চিৎকার। ম্যাচের পর বুসকেতস বললেন, সব পাওয়ার তৃপ্তি নিয়েই বার্সেলোনা ছাড়ছেন তিনি। এই বিদায়কে তিনি বলছেন সাময়িক, ফেরার ঘোষণাও দিয়ে রাখলেন।  “স্বপ্ন দেখতাম, একদিন আমি এই স্টেডিয়ামে খেলব। যখন ছোট্ট ছিলাম, এই মাঠে আসতাম খেলা দেখতে। প্রতিপক্ষের মাঠেও দেখতে গিয়েছি। টিভিতে দেখেছি খেলা। বিশ্বের সেরা ক্লাবের একজন আমি, এই গৌরবের অনুভূতি কখনও কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।” 

“এখন আমি চলে যাচ্ছি। তবে ছেলেবেলায় যে স্বপ্ন দেখতাম, সবই পূরণ হয়েছে। সত্যি বলতে, আমার কল্পনার চেয়েও বেশি পেয়েছি। এত বছর এখানে থাকা, এত এত শিরোপা জিততে পারা, সব কিছু মিলিয়ে এই ক্লাব সবসময় হৃদয়ে থেকে যাবে। সবশেষে বলব, এটি বিদায় নয়, ফিরব খুব শিগগিরই।”বার্সেলোনার হয়ে ৯টি লা লিগা, ৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৭টি করে কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৩টি করে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপসহ দলীয়-ব্যক্তিগত অনেক অর্জনকে সঙ্গী করে বিদায় নিচ্ছেন বুসকেতস। বার্সেলোনায় আলবার পথচলা ১১ বছরের। ৬টি লা লিগা, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ দারুণ সব অর্জন আছে তারও। বিদায় বেলায় তার চোখেও ছিল জল। ৩৪ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারও বললেন, বার্সেলোনার সঙ্গে তার সম্পর্কটা রয়ে যাবে আজীবন। “এই মাঠে, এই শহরের পথে-প্রান্তরে যে ভালোবাসা আমার প্রতি আপনারা দেখিয়েছেন, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা। এই জার্সি গায়ে চাপাতে পারাই দারুণ গৌরবের। আমার জীবনের সবচেয়ে সুখময় দিনগুলি কেটেছে এই জার্সিতে।” “এই মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা কম খেলতে পেরেছি। তবে চেষ্টা করেছি সবাইকে সহায়তা করতে। এখন সময় হয়েছে ভিন্ন একটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার। তবে আজীবন আমি বন্ধু হয়েই রয়ে যাব।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য