Thursday, April 18, 2024
বাড়িখেলাসমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ

সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,২৬ এপ্রিল: লা লিগায় শিরোপা ধরে রাখার লড়াই থেকে আগেই অনেকটা ছিটকে পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের লিগ হতাশায় নতুন মাত্রা যোগ হয় মঙ্গলবার। জিরোনার মাঠে তারা হেরে যায় ৪-২ গোলে।যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল নিউইয়র্ক এফসি থেকে ধারে জিরোনায় খেলতে আসা ২৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ভালেন্তিন কাস্তেইয়ানোস একাই করেন চার গোল।রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সবশেষ এক ম্যাচে চার গোল করতে পেরেছিলেন রবের্ত লেভানদোভস্কি, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে। লা লিগায় এমন কিছু খুঁজতে হলে যেতে হবে ৭ দশক পেছনে! সেই ১৯৪৭ সালে রিয়াল ওভিয়েদোর এস্তেবান এচেভেরিয়া করেছিলেন ৫ গোল।সেই দুঃসহ স্মৃতিই এবার ফিরে এলো। স্পেনের সফলতম দল, ইউরোপের সফলতম দলের এমন বিব্রতকর হারে সমর্থকদের হৃদস্পন্দন কেমন হতে পারে, তা না বোঝার কারণ নেই আনচেলত্তির। ম্যাচ শেষে তাই ক্ষমা চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কথা দিলেন, সামনের দুটি বড় উপলক্ষে চেনা চেহারায় ফিরবে দল।“এই ম্যাচ রিয়াল মাদ্রিদকে ফুটিয়ে তুলতে পারছে না। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, তবে আমাদেরকে সামনে তাকাতে হবে।”“আমি বুঝতে পারছি, আপনারা কষ্ট পেয়েছেন। আপনারা ক্ষুব্ধ। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। তবে সমর্থকরা জানেন যে, কোপা দেল রে ফাইনাল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে আমরা ঘুরে দাঁড়াব। আমাদের দ্রুত জেগে উঠতে হবে, কারণ এখনও অনেক কিছু পাওয়ার আছে। আমরা জেগে উঠব।”

নিজেদের মাঠে ম্যাচ শুরুর ২৪ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে যায় জিরোনা। মিনিট দশেক পর একটি গোল শোধ করে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র। তবে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে আরও দুটি গোল করে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন কাস্তেইয়ানোস। শেষ দিকে ব্যবধান একটু কমান লুকাস ভাসকেস।ম্যাচের পর রিয়াল কোচ আঙুল তুললেন দলের রক্ষণের দিকে। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এদের মিলিতাও এ দিন যেন মাঠে স্রেফ ঘুমিয়ে ছিলেন। দুটি গোলে দায় আছে তার। রাইট ব্যাক দানি কার্ভাহাল ও এই ম্যাচে লেফট ব্যাক হিসেবে খেলা নাচো ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। লড়াইয়ের মানসিকতাই তাদের মধ্যে দেখতে পাননি কোচ।“পরাজয় মেনে নেওয়া কখনোই সহজ নয়। এটিও ব্যতিক্রম নয়। এই হার মেনে নেওয়া কঠিন, তবে ব্যাখ্যা করা সহজ। রক্ষণের দিক থেকে বাজে একটি ম্যাচ ছিল এটি। ওদের পাল্টা আক্রমণের সামনে আমরা রক্ষণে যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। এটিই হারের মূল কারণ।”

“সবশেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই আমরা গোল হজম করিনি। আজকে আমাদের জালে চারটি গোল ঢুকেছে, কারণ রক্ষণে নিবেদনে ঘাটতি ছিল। বল পায়ে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল, কিন্তু বল ছাড়া আমরা অনেক বেশি জায়গা ফাঁকা রেখেছি। এজন্যই তারা প্রথম দুই আক্রমণেই দুটি গোল করে বসে। আমরা ভেবেছিলাম, প্রথমার্ধ শেষে বিরতিতে আমরা নিজেকে গুছিয়ে নেব। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরেকটি গোল খেয়ে বসি।”গত শনিবার সেল্তা ভিগোকে ২-০ গোলে হারানো ম্যাচের একাদশে এ দিন পাঁচটি পরিবর্তন আনেন রিয়াল কোচ। পেটের পীড়ায় নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও পেশির চোটে ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা ছিলেন না এই ম্যাচে। শুরু থেকে খেলতে পারেননি সম্প্রতি লেফট ব্যাক হিসেবে দুর্দান্ত পারফর্ম করতে থাকা এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। চোটের কারণে ছিলেন না দুই ডিফেন্ডার ফেরলঁদ মঁদি ও দাভিদ আলাবাও।তবে এসবকে পরাজয়ের কারণ হিসেবে দাঁড় করাতে চান না কোচ। তিনি ক্ষুব্ধ তার দলকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা করতে না দেখে।“ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় আমরা লড়াই করেছি ব্যক্তিগতভাবে, দল হিসেবে খেলতে পারিনি। মনে হয়নি আজকে কোনো দল খেলেছে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে ছিল। সব মিলিয়ে গোটা পারফরম্যান্সই ছিল নিম্নমানের।”লা লিগায় রিয়ালের পরের ম্যাচ আগামী শনিবার নিজেদের মাঠে আলমেরিয়ার বিপক্ষে।  

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য