স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৯ মার্চ: কন্তের বিদায়ের প্রেক্ষাপট হিসেবে সবচেয়ে বেশি যা উচ্চারিত হচ্ছে, তা হলো ফুটবলারদের সঙ্গে তার দূরত্ব। গত ১৮ মার্চ সাউথ্যাম্পটনের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করার পর দলের ফুটবলারদের ‘স্বার্থপর’ বলে তুমুল আলোচনার জন্ম দেন কন্তে। বিস্ফোরক সেই সংবাদ সম্মেলনে ফুটবলারদের টিম স্পিরিট ও চাপের মধ্যে খেলার সামর্থ্যও প্রশ্নবিদ্ধ করেন কোচ। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ৮ দিন পর আসে তার বিদায়ের ঘোষণা।হিউং-মিন অবশ্য কোচের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব বা অসন্তুষ্টির কথা বলেননি। বরং বিদায়ী কোচের জন্য তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাই ফুটে উঠেছে। সিউলে মঙ্গলবার প্রীতি ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার ৩-২ গোলের হারের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ফরোয়ার্ড বললেন, ক্লাব কোচের বিদায়ে অপরাধবোধে ভুগছেন তিনি।
“দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে, আমি সত্যিই দুঃখিত। তিনি বিশ্বমানের কোচ, একসঙ্গে দারুণ এক ভ্রমণ ছিল আমাদের। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকব সবসময়। আমার আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। তার বিদায়ে নিজেকে দায়ী মনে হচ্ছে আমার, কারণ আমি ক্লাবতে ততটা সহায়তা করতে পারিনি পারফরম্যান্স দিয়ে।”“ক্লাবের অন্য ফুটবলারদের ভাবনা কী, তা জানি না। তবে আমি তার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি যা করেছেন, তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ আমার আরও বেশি কিছু করা উচিত ছিল, কিন্তু পারিনি। তিনি অসাধারণ একজন কোচ এবং অনেক অভিজ্ঞ। আমি সবসময়ই তার পাশে থাকব এবং ভবিষ্যতে নতুন জায়গাতেও নিশ্চিতভাবে তিনি অনেক সাফল্য পাবেন।”কন্তের কোচিংয়ে গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২৩ গোল করেছিলেন হিউং-মিন, যৌথভাবে যা ছিল গত আসরের সর্বোচ্চ। তবে এবার এখনও পর্যন্ত স্রেফ ৬টি গোল করতে পেরেছেন ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। চোটের কারণেও অবশ্য ভুগতে হয়েছে তাকে।গত মৌসুমে লিগে চতুর্থ হওয়া টটেনহ্যাম এবারও পয়েন্ট তালিকায় চারে আছে এখনও পর্যন্ত। তবে লিগ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে তারা।