স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩০মে : খারিফ মরশুমকে সামনে রেখে কৃষিক্ষেত্র আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য শুরু হতে যাচ্ছে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান। রাজ্য বর্তমানে সবদিক দিয়েই পুরানো চিন্তা ধারণাকে পেছনে ফেলে উন্নয়নের আধুনিকথায় এগিয়ে যাচ্ছে। তাই রাজ্য সরকার কৃষি, বিষয়ে নতুন নতুন সংস্কার করছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং কৃষকদের উন্নতির স্বার্থে খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছেন। ফলস্বরূপ বর্তমানে রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে শিক্ষিত যুবক যুবতীরাও এগিয়ে আসছে। মূলত দেশের খাদ্য উৎপাদনে ও কৃষকদের আয় দ্বিগুণ এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে তাদের কাছে পৌঁছে দিতেই সরাসরি কৃষকদের থেকে পরামর্শ ও কৃষকদের সচেতনতা করতেই এই অভিযান। এই কথা বলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ।
২৯ মে থেকে সারা দেশের সঙ্গে ত্রিপুরাতেও শুরু হবে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান। অভিযান চলবে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত। তারই অঙ্গ হিসেবে খোয়াই জেলা কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে খোয়াই মহকুমার মধ্য সিঙ্গিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং বাজারে রুদ্রবাণী কমিউনিটি হলে আয়োজিত হয় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাছাড়া উপস্থিত ছিল খোয়াই জেলা সভাধিপতি অপর্ণা সিংহ রায়, বিশিষ্ট সমাজসেবী অনুকূল দাস সহ কৃষি দপ্তরের আধিকারিকগণ। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধান অতীতের চেয়ারে মন্ত্রী রতন লাল নাথ এক কৃষককে বসিয়ে সভামঞ্চ অলঙ্কিত করেন। কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সারা রাজ্যের ৮টি জেলার ৮৬৪টি স্থানে এই অভিযান উপলক্ষ্যে কৃষি সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি জেলায় তিনটি করে কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিদিন ৭২টি সভা করা হবে।
ন্যূনতম ২০০ জন কৃষকদের নিয়ে এই সভাগুলি করা হবে। এই অভিযানে মোট ২৪টি কৃষি রথকে রাজ্যব্যাপী কাজে লাগানো হবে। কৃষি সংক্রান্ত প্রচার অভিযানের জন্য প্রতিটি টিমের সাথে থাকবে একটি করে রথ। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে কৃষিক্ষেত্রের সমৃদ্ধি ঘটানো এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ধারণাকে কৃষকদের কাছে পৌঁছানো। এছাড়াও ক্ষেত্র পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের কাজ থেকে কৃষির প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে অবগত হওয়া। পাশাপাশি কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে জ্ঞাত হওয়া। বর্তমানে দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ, এই স্বয়ং সম্পূর্ণতার অবদান কৃষকদের। কৃষকরা যদিমাঠে কৃষি জমিতে রোদ বৃষ্টি অপেক্ষা করে ফসল উৎপাদন না করতো। তাহলে আমরা অন্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হতো না। কৃষক প্রায় অন্নদাতা কৃষকর ভগবান। কৃষকদের ভগবান বলে আখ্যায়িত করেন।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং কৃষকদের উন্নতির স্বার্থে খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছেন। কৃষকদের স্বার্থে এই কৃষি বিকশিত সংকল্প।কৃষকরা থাকবে এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
তাছাড়া মন্ত্রী এ দিন একজন কৃষকের পাঁ ছুঁয়ে প্রণাম করেছেন।কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। কৃষকদের চাহিদা, সুবিধা-অসুবিধা, কেমন মাটিতে কি ধরণের চাষ, উন্নত আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, জৈবচাষ পদ্ধতি, কৃষিক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার, জলবায়ু অনুকূল চাষ পদ্ধতি, পশুপালন পদ্ধতি, মৎস্যচাষ পদ্ধতি ইত্যাদি বিভিন্ন কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।