Tuesday, March 25, 2025
বাড়িখেলামিচেলের সেঞ্চুরিতে ক্রাইস্টচার্চে কিউইদের দিন

মিচেলের সেঞ্চুরিতে ক্রাইস্টচার্চে কিউইদের দিন

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ মার্চ: দৌড় শেষ হতে না হতেই হেলমেট খুললেন। বাতাসে হাতের ব্যাট ছুড়ে মারার ভঙ্গি করলেন। একবার নয়, একাধিকবার। চিৎকারও করলেন। সব মিলিয়ে একটা কিছু ‘দেখিয়ে দেওয়া’র তাড়না ছিল ড্যারিল মিচেলের। এমন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের কারণ সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরি শুধু মিচেলের ব্যক্তিগত অর্জনের খাতাই সমৃদ্ধ করেনি, দলকেও উদ্ধার করেছে বিপদ থেকে।২৫ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ১৬৭ রান পিছিয়ে থাকার সময় ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছিল কিউইরা। মিচেলের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি এবং ম্যাট হেনরির ক্যারিয়ার–সর্বোচ্চ ৭২ রানে ভর করে উল্টো ১৮ রানের লিড নিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৮৩ নিয়ে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন শেষে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ২০ এবং প্রবাথ জয়াসুরিয়া ২ রানে অপরাজিত।

নিউজিল্যান্ডের জন্য ক্রাইস্টচার্চের আজকের দিনটি ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর, নয়তো ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যাওয়ার। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৫৫ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে ১৬২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কিউইরা। উইকেটে ছিলেন শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই বাঁহাতি স্পিনার প্রবাথের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ব্রেসওয়েল। ১৮৮ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তখন প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায়। সেখান থেকে কিউইদের টেনে তোলার কাজটি করেন মিচেল, সঙ্গ দেন অধিনায়ক টিম সাউদি ও টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান হেনরি।মেরে খেলার চেষ্টা করে সাউদি অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩ চার ১ ছয়ে ২০ বলে ২৫ রান করে কাসুন রাজিথার শিকার হন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। এরপর হেনরিকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মিচেল।

আগের ১২ ইনিংসের ৭টিতেই পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলা এই ডানহাতি লাহিরু কুমারার বলে ডাবল নিয়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ১৮৭ বলে। যে ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছয়। ১৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ডের রানও ততক্ষণে তিন শর কাছাকাছি চলে গেছে।সেঞ্চুরির এক ওভারই পরই অবশ্য কুমারার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। নিউজিল্যান্ডকে বাকিটা পথ প্রায় একাই টেনে নেন হেনরি। এর মধ্যে রাজিথার এক ওভারে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন। প্রথম থেকে পঞ্চম—প্রথম পাঁচ বলেই মারেন ৪টি চার ও একটি ছয়। তুলে নেন চতুর্থ টেস্ট ফিফটিও। আরেক প্রান্তে নিল ওয়াগনারও ছিলেন আক্রমণের তালে।এ দুজনের ৮.৩ ওভার স্থায়ী নবম উইকেট জুটিতে ৬৯ রান পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ঝড় থামে আসিথা ফার্নান্দোর বলে হেনরির বোল্ড আউটে।

 ১০ চার ৩ ছয়ে ৭৫ বলে ৭২ রান করে যান তিনি। ওয়াগনার খেলেন ৩ ছয় ১ চারে ২৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস। ১২ রানের মধ্যে শেষ দুই উইকেট হারালেও ৩৭৩ রান তুলে ১৮ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড।লিডে উজ্জীবিত নিউজিল্যান্ড পরে বল হাতেও দিনটা নিজেদের করে নেয়। শর্ট বল ও গতিতে ভড়কে দিয়ে ব্লেয়ার টিকনার তুলে নেন ওশাদা ফার্নান্দো, দিমুথ করুনারত্নে ও কুশাল মেন্ডিসের উইকেট। এর মধ্যে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেওয়া ওশাদা সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন।৩ উইকেট নিতে টিকনারের খরচও ২৮ রান।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য