Friday, October 18, 2024
বাড়িখেলাহাজারেতে অমিতের ৫ উইকেট, প্রথমবার নক আউটে ত্রিপুরা

হাজারেতে অমিতের ৫ উইকেট, প্রথমবার নক আউটে ত্রিপুরা

ক্রীড়া প্রতিনিধি ।। এবারই প্রথম নক আউটে ত্রিপুরা। বিজয় হাজারে ট্রফি ক্রিকেটে মঙ্গলবার গ্রুপের কার্যত ফাইনালে মেঘালয়কে বিধ্বস্ত করে নকআউটে খেলার ছাড়পত্র অর্জন করে নেয় কে ভি পবন-‌রা। জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে ত্রিপুরা জয়লাভ করে ৯ উইকেটে। মেঘালয়ের গড়া মাত্র ১১৬ রানের জবাবে ত্রিপুরা ২২ ওভার বাকি থাকতেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রযোজনীয় রান তুলে নেয়।

 মেঘালয়কে অল্পরানে গুড়িয়ে দিতে মূখ্য ভূমিকা নেয় ডানহাতি লেগ স্পিনার অমিত আলী। একসময় যখন মেঘালয় বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন দেখছিলো তখনই অমিতের ভেল্কিতে কুপোকাৎ হয়ে যায় উত্তরপূর্বের ওই রাজ্যটি। পরে ব্যাট হাতে দুরন্ত অর্ধশতরান করে ত্রিপুরাকে সহজ জয় এনে দেয় ওপেনার বিশাল ঘোষ এবং পেশাদার সমিত গোহিল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির পরাজয়েরও সুমধুর বদলা নিলো মণিশঙ্কর-‌রা। এদিন সকালে টসে জয়লাভ করে ত্রিপুরার অধিনায়ক কে ভি পবন মেঘালয়কে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। শুরুতে রাণা দত্ত মেঘালয়ের ওপেনারকে ফেরানোর পর থেকেই ত্রিপুরার বোলাররা জাঁকিয়ে বসে বিপক্ষের উপর। এতে ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকে মেঘালয়। দল যখন খাদের কিনারায় তখন মেঘালয়ের হয়ে দলকে কিছুটা টেনে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে চিরাগ খুরানা। ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে চিরাগ অর্ধশতরান করে। দলের ৯৬ রানের মাথায় চিরাগ প্যাভেলিয়নে ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যায় মেঘালয়ের ইনিংস। চিরাগ ৯৩ বল খেলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৫ রান করে। এছাড়া মেঘালয়ের পক্ষে পুনিত বিস্ত ২০ বল খেলে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ এবং আকাশ কুমার ৩০ বল খেলে ১১ রান করে। মেঘালয় ৩৯.‌৫ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে। ত্রিপুরার পক্ষে অমিত আলী ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করে এদিন। ২৬ রান খরচ করে তুলে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া রাণা দত্ত ১৮ রানে এবং রাহিল শাহ ২০ রানে দুটি করে উইকেট পায়। জবাবে খেলতে নেম শুরুতেই সম্রাট সিনহাকে (‌৪) হারায় ত্রিপুরা।

 ওই অবস্থায় দুরন্ত ফর্মে থাকা ওপেনার বিশালের সঙ্গে রুখে দাঁড়ায় মরশুমে ১টি শতরান এবং ২টি অর্ধশতরান করা সমিত গোহিল। ওই দুজন ঠান্ডা মাথায় বিপক্ষের যাবতীয় আক্রমণ প্রতিরোধ করে ত্রিপুরাকে জয়ের দিকে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২৮ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে রাজ্যদল জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। বিশাল ৬৯ বল খেলে ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ রানে এবং সমিত ৯৭ বল খেলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। মেঘালয়ের পক্ষে চাংকম সাংমা একমাত্র উইকেটটি পেয়েছে। গ্রুপে সবকটি ম্যাচে জয়লাভ করে সেরা হয়ে নকআউটে খেলার সুযোগ পেয়েছে ত্রিপুরা। ১৯ ডিসেম্বর হবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। তবে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে কোন্ রাজ্য খেলবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য