স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০জানুয়ারি:
২০০৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে অভিষেক হয় লরিসের। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড তার। সবচেয়ে বেশি ১২১ ম্যাচে ফ্রান্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও ৩৬ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের।২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ ইউরোতে খেলেছেন। অংশ নিয়েছেন ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে।ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল টটেনহ্যাম হটস্পার গোলরক্ষক লরিসের নেতৃত্বে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। কাতারে গত মাসে শিরোপা ধরের রাখার অভিযানে ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হেরে যায় তার দল।ফরাসি ক্রীড়া পত্রিকা লেকিপেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমবার লরিস বলেন, বুঝতে পারছেন লাগাম অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ার সময় এসে গেছে।
“এমন একটা সময় আসবে যখন আপনি জানবেন, কীভাবে লাগাম হাত বদল করতে হয়। আমি সব সময়ই বলে এসেছি, ফ্রান্স দল কারো একার নয়। আর এটা আমাদের সবার নিশ্চিত করতে হবে, সবার আগে আমার।”“আমি মনে করি, এই দল এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমাদের একজন গোলরক্ষক (মাইক মিয়াঁ) আছে, যে প্রস্তুত। পড়তি সময়ের জন্য অপেক্ষা করার চেয়ে আমি চূড়ায় থেকেই বিদায় নিতে চাই। এছাড়াও পরিবারেরও একটা চাওয়া আছে। আমি মনে করি স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে আমার আরও বেশি সময় কাটানো উচিত।”ফ্রান্সের হয়ে ২০২১ নেশন্স লিগ জেতেন লরিস। খেলেন ২০১৬ ইউরোর ফাইনালে।দিদিয়ে দেশম মনে করেন, নিজের সেরা অবস্থানে থাকার সময়েই অবসর নিলেন লরিস। অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষকের সিদ্ধান্তকে সবার সম্মান করা উচিত বলে মনে করেন ফ্রান্সের কোচ।“ফ্রান্স দলের অসাধারণ একজন সেবক বিদায় নিল। আমি তার অসাধারণ ক্যারিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাই।”“নিজের প্রতিভা ও পেশাদারিত্বের জন্য যেসব রেকর্ড সে ভেঙেছে, আমাদের সেরা সব জয়ে যে অপরিহার্য ভূমিকা সে পালন করেছে… এর বাইরেও উগো একজন অসাধারণ মানুষ। তার কোচ হওয়াটা আমার জন্য আনন্দের ও গর্বের। উগোর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। তার জীবন সুখের হোক।”২০১২ সাল থেকে টটেনহ্যামে খেলছেন লরিস। প্রিমিয়ার লিগের দলটির অধিনায়কও তিনি। এ ছাড়া লিগ ওয়ানের দল অলিম্পিক লিওঁ ও নিসের হয়েও খেলেছেন লরিস।