স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৩১ ডিসেম্বর: পেলের কীর্তি আর অর্জন রয়ে গেছে ইতিহাসে। তার ফুটবল স্কিল আর জাদুকরি সামর্থ্যের কথা লিপিবদ্ধ আছে নানা লেখায়, বইয়ে। ধারণ করা আছে ভিডিওতে। দর্শক-সংবাদকর্মী যারা দেখেছেন তার খেলা, তাদের স্মৃতিতেও পেলে অম্লান। তবে যে সতীর্থরা প্রতিদিন তাকে দেখেছেন কাছ থেকে, প্রতিটি অনুশীলন সেশন, ম্যাচের পর ম্যাচ, মাসের পর মাস, তাদের চেয়ে বড় স্বাক্ষী সম্ভবত আর কেউ নেই।পেপে তেমনই একজন। পুরো নাম তার জুজে মাসিয়া। বয়সে তিনি পেলের চেয়ে ৫ বছরের বড়। ১৫ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই খেলেছেন সান্তোসে, যে সময়টায় পেলেও রাঙিয়েছেন এই ক্লাব। পেলের পর সান্তোসের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার মনে করা হয় পেপেকেই। এই ক্লাবের হয়ে তার গোল ৪০৫টি, এর চেয়ে বেশি গোল করতে পেরেছেন কেবল পেলে।ব্রাজিলের হয়েও পেপের আছে দুর্দান্ত কিছু পারফরম্যান্স। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ তিনি। নানা সময়ে তিনি কৌতুক করে বলতেন, ‘এই পৃথিবীতে সান্তোসের সেরা স্ট্রাইকার আমিই, কারণ পেলে তো শনি গ্রহ থেকে এসেছে!”৮৭ বছর বয়সী সাবেক তারকা এখন থাকেন সাও পাওলোর ছোট্ট শহর সকোহোতে। সেখানেই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি পুরনো কথাগুলিই শোনালেন নতুন করে। “মজা করে আমি পেলের মাকে বলতাম, ‘ওকে জন্ম দেওয়ার পর তো আপনি ফর্মূলাটাই ছুড়ে ফেলেছেন!’ পেলের মতো আর কেউ কখনও হবে না।”“লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, নেইমার, মারাদোনা… তারা সবাই আলাদা, অসাধারণ সব ফুটবলার। তবে তারা সবাই মানুষ। পেলে মানুষ ছিল না, সে শনিগ্রহ থেকে এসেছিল…। শনিগ্রহের চেয়ে দূরের কিছু আরও আছে? যদি থাকে, সে তাহলে সেখান থেকেই এসেছে।”পেলের আরেক সতীর্থ জেরসন দে অলিভেইরা নুনেস, পরিচিত তিনি জেরসন নামে। পাস দেওয়ার দক্ষতার ক্ষেত্রে তাকে মনে করা হয় ফুটবল ইতিহাসের সেরাদের একজন। ১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের মাঝমাঠের প্রাণভ্রোমরা তিনি। ওই বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের ‘মস্তিষ্ক’ বলা হতো তাকে। ইতালির বিপক্ষে ফাইনালে তিনিই ছিলেন সেরা খেলোয়াড়, প্রথমার্ধে ১-১ সমতার পর দ্বিতীয়ার্ধে তার গোলেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল।বয়সে পেলের চেয়ে মাস তিনেকের ছোট সাবেক এই মিডফিল্ডার রিও দে জেনেইরোর নিতেরয় থেকে রয়টার্সকে বলেন, পেলের মৃত্যু হতে পারে না।“পেলের সঙ্গে খেলা মানেই আমরা জানতাম, জয় আসবেই। সে ছিল সেরা, ফুটবলের রাজা। এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো মারা গেছে, তবে পেলে চিরন্তন।”