Saturday, July 27, 2024
বাড়িখেলাস্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া হ্যাটট্রিক রামোসের

স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া হ্যাটট্রিক রামোসের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,৭ ডিসেম্বর: ম্যাচ শেষে রামোসের অকপট স্বীকারোক্তি, হ্যাটট্রিক তো বহুদূর, বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়াটাই ছিল না তার সুদূরতম কল্পনাতে।সুইজারল্যান্ডরে বিপক্ষে মঙ্গলবার পর্তুগালের ৬-১ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেন রামোস। অথচ এই ম্যাচের আগে তেমন কোনো আলোচনায় তিনি ছিলেন না। থাকার কারণও ছিল না।গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বদলি হিসেবে একদম শেষ সময়ে মাঠে নামার সুযোগ হয় তার। সেটিও সব মিলিয়ে মিনিট দশেক। সেই তিনিই শেষ ষোলোয় সেরা একাদশে জায়গা পেয়ে ঝড় তুললেন আলোচনার।শুধু বিশ্বকাপে নয়, ক্যারিয়ারেই এই প্রথমবার জাতীয় দলের সেরা একাদশে জায়গা হয় তার। বেনফিকার হয়ে এই মৌসুমে প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে তিনি নজর কাড়েন পর্তুগালের কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের। গত সেপ্টেম্বরে ডাক পান জাতীয় দলে। দেশের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামার সুযোগ হয় ঠিক বিশ্বকাপের আগে। গত ১৭ নভেম্বর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে দলের ৪-০ গোলের জয়ে তৃতীয় গোলটি করেস, অবদান রাখেন চতুর্থ গোলে।

বিশ্বকাপের আগে সেই অভিজ্ঞতাই ছিল তার সম্বল। বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর লড়াইয়ের আগে ওই স্রেফ কয়েক মিনিট মাঠে থাকার অভিজ্ঞতা। অথচ এখন তিনিই পর্তুগিজ নায়ক।সেই ২০০২ বিশ্বকাপে মিরোস্লাভ ক্লোসার পর প্রথমবার কেউ বিশ্বকাপের প্রথম একাদশে প্রথমবার জায়গা পেয়েই করলেন হ্যাটট্রিক। ক্লোসার সেই কীর্তি ছিল গ্রুপ পর্বের ম্যাচে, সৌদি আরবের বিপক্ষে। রামোসেরটি আরও বড় ম্যাচে, তুলনামূলক কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে।ম্যাচের পর ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড হাসিমুখে বললেন, নিজের ভাবনার সীমানাকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।“আমার সুদূরতম কল্পনাতেই ছিল না যে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে আমি শুরুর একাদশে জায়গা পাব…।”এতটাই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ঘোরে আছেন যে, এমন হ্যাটট্রিকের পরও তিনি নিশ্চিত নন, পরের ম্যাচের একাদশে জায়গা পাবেন কিনা।“জানি না, পরের ম্যাচে শুরু থেকে খেলতে পারব কিনা, সেটা নির্ভর করছে কোচের ওপর। আমাকে যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে এবং এরপর দেখা যাক, কী হয়।”সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শনিবার রামোসরা মুখোমুখি হবেন এই আসরের চমক মরক্কোর।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য