Thursday, March 28, 2024
বাড়িখেলাসেই অট্টহাসি সুয়ারেসের কাছে ফিরে এলো কান্না হয়ে

সেই অট্টহাসি সুয়ারেসের কাছে ফিরে এলো কান্না হয়ে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,৩ ডিসেম্বর: সাফল্যের পাশাপাশি বিতর্কও যেন তার সখা। ২০১৪ বিশ্বকাপে রাগ, ক্ষোভ, হতাশায় দিশেহারা হয়ে ইতালির জর্জো কিয়েল্লিনিকে কামড়ে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে হাসাহাসি, ঠাট্টা-বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন অনেক। এরপর অবশ্য বদলে যান যথেষ্ট।এর চার বছর আগে ঘানার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে করেন আরেক কাণ্ড। গোললাইন থেকে হাত দিয়ে ফেরান আদিয়াহর হেড। ইচ্ছাকৃত ওই হ্যান্ডবলে লালকার্ডও দেখেন। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় আসামোয়াহ জিয়ানকে পেনাল্টি মিস করতে দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিলেন তিনি। আর এবার জিতেও উৎসব করা হয়নি সুয়ারেসের। বরং বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার বেদনায় কাঁদতে হয়েছে মুখ লুকিয়ে।উরুগুয়ে-ঘানা ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে আসছিল এক যুগ আগের সেই কাণ্ডের প্রসঙ্গ। সুয়ারেস অনুতপ্ত হননি। ক্ষমা চাওয়ার কারণ দেখেন না বলেও জানিয়েছিলেন। ঘানার দূর্ভাগ্যের দায় নিজের হ্যান্ডবল নয়, জিয়ানের স্পট কিক মিসকে দিয়েছিলেন। এক দিক থেকে সুয়ারেস ঠিকই বলেছেন। উরুগুয়ের জন্য ঠিক কাজটিই সেদিন জোহানেসবার্গের ম্যাচে করেছিলেন। কিন্তু ঘানা সেদিনের স্মৃতি ভোলেনি। এবার উরুগুয়েকে আরেকটি গোল করতে না দিয়ে যেন তার একরকমের প্রতিশোধও নিল!

কাতার বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপ থেকে পর্তুগাল ও দক্ষিণ কোরিয়া উঠেছে নকআউট পর্বে। পর্তুগিজরা ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারানো এশিয়ার দল কোরিয়া। ঘানাকে ২-০ গোলে হারানো উরুগুয়ের পয়েন্ট এবং গোল পার্থক্যও কোরিয়ার সমান। কিন্তু গোল বেশি দেওয়ায় শেষ ষোলোয় এশিয়ার দলটি; বিশ্বকাপের আঙিনা থেকে আবারও ঝরে পড়ল উরুগুয়ে।বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। ১৯৫০ সালে ব্রাজিলকে ‘মারাকানার কান্নায়’ ভাসিয়ে দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ পায় তারা। এরপর কেবল একের পর আসর গড়িয়েছে, বিশ্বকাপ ট্রফির সংখ্যা দুই থেকে তিনে নিতে পারেনি তারা। গত পাঁচ-ছয়টি আসরে কখনও দিয়েগো ফোরলান, কখনও সুয়ারেস-এদিনসন কাভানির কাঁধে সাওয়ার হয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখেছে উরুগুয়ে, কিন্তু পূরণ হয়নি, এবারও হলো না।বরং এবার ভীষণ হতাশা নিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হলো উরুগুয়ের। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে শুরু, এরপর পর্তুগালের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে খাদের কিনারে চলে গিয়েছিল তারা। শেষ ষোলোর ভাগ্য ঝুলছিল বড্ড চিকন সুতোয়। শেষ ম্যাচে জয় ধরা দিল বটে, কিন্তু গ্রুপ পর্ব পেরুনোর গল্পটা লেখা হলো না; বিশ্বকাপের ইতিহাসে এ নিয়ে চার বার।

 

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য