স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১২ নভেম্বর: বিশ্ব ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অবস্থান বেশ উপরের দিকে। তবে নিজ দেশে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের জায়গা ঠিক ততটা ভালো নয়, সেখানে ঢের এগিয়ে ফুটবল ও রাগবি। এই দুই খেলার তুমুল জনপ্রিয়তার মাঝে নিজেদের স্বতন্ত্র ছাপ রাখতে চান ইংলিশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক জস বাটলার। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা দলটি এবার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে শিরোপার দুয়ারে দাঁড়িয়ে। সামনে বাকি শুধু এক ম্যাচ। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রোববার পাকিস্তানের বাধা পেরোলেই দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলবে বাটলারের দল।
একই সময় চলছে নারী ও পুরুষ রাগবির বিশ্বকাপ। সে দুই আসরেও দুর্বার গতিতে এগোচ্ছে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠের রাগবি লিগ পুরুষ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় সামোয়ার বিপক্ষে খেলবে ইংলিশরা। তার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় নারী রাগবি বিশ্বকাপের ফাইনালে তাদের ম্যাচ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। রাগবি ও ক্রিকেটের রেশ থাকতেই আগামী ২০ নভেম্বর শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। গত বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হওয়া ইংল্যান্ডের ওপর বিশ্ব আসরেও প্রত্যাশা অনেক বেশি। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়ে গেছে নানা আলোচনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে তাই সঙ্গত কারণে প্রশ্ন ছিল, অন্য দুই খেলার উন্মাদনার মাঝে ক্রিকেট দল কি যথাযথ সমর্থন পাচ্ছে? জবাবে বাটলার জানিয়েছেন, দেশের মানুষের উষ্ণ ভালোবাসা পাচ্ছেন তারা। তার আশা, দেশকে সাফল্য এনে দিয়ে শক্ত জায়গা করে নিতে পারবে তার দল।
“হ্যাঁ, আমি অবশ্যই তা আশা করি। খেলাধুলা ইংল্যান্ডের সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। আমি দেখেছি, বিশ্বকাপগুলোতে যেকোনো দলের পাশে থাকার বিষয়টি সবসময়ই হয়ে আসছে। যদিও আমরা এখন বিশ্বের আরেকপ্রান্তে আছি, কিন্তু (দেশের মানুষের) সমর্থনটা বুঝতে পারছি। আপনারা ইউরো কাপের যে চিত্র দেখেছেন, অবশ্যই আমাদের দেশে ফুটবলের ধারেকাছে কিছু নেই। তবে এখন যে আগ্রহের মাত্রা দেখা যাচ্ছে, অসাধারণ।” ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সংস্করণের বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেবার ফাইনাল ম্যাচটি টিভি দর্শকদের জন্য ‘ফ্রি টু এয়ার’ করে দেওয়া হয়েছিল। একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও। এতে দেশের মানুষ ক্রিকেট দেখার প্রতি আরও আকৃষ্ট হবে বলে মনে করেন বাটলার। “(ফাইনাল) ম্যাচটি টিভিতে ফ্রিতে দেখা যাবে। যার সৌজন্যে নতুন নতুন দর্শকদের খেলাটি দেখতে দেখা যাবে। আমরা ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে এর সুফল দেখেছি। ত্রাফালগার স্কয়ারে সবাই খেলা দেখেছে। আমি নিশ্চিত নই, তারা এবার সকাল আটটায় উঠে ত্রাফালগার স্কয়ারে যাবে কি না। তবে আমি জানি, দেশের মানুষের আমাদের জন্য শুভকামনা থাকবে। যেমনটা আমরা অন্য দলগুলোকে (রাগবি-ফুটবল) জানাচ্ছি, তাদের বড় অভিযানের আগে।”