স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৯ সেপ্টেম্বর।।শিরোপা লড়াইয়ে জায়গা করে নিতে পর্তুগালের বিপক্ষে জিততেই হতো স্পেনের। শেষের দারুণ নৈপুণ্যে সেটা তারা করেছেও। কিন্তু বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অনেকটা সময় ধারহীন ফুটবল খেলে নিজেদের কাজটা কঠিন করে তুলেছিল স্পেন। দলটির কোচ লুইস এনরিকে যদিও বললেন, গোল পাওয়ার ব্যাপারে সবসময়ই তার বিশ্বাস ছিল।নেশন্স লিগে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতে চার দলের ফাইনালসে উঠেছে স্পেন। ৮৮তম মিনিটে ভাগ্য নির্ধারণী গোলটি করেন আলভারো মোরাতা।
শেষ মুহুর্তের গোলে বাজিমাত করলেও ম্যাচের অধিকাংশ সময় দ্বিতীয় সেরা দল হয়েছিল তারা। প্রথমার্ধে তো চেনাই যায়নি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। একের পর এক আক্রমণে তাদের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় পর্তুগাল। পুরো ম্যাচে তারা অসংখ্য সুযোগ নষ্ট না করলে শেষে গল্প ভিন্ন হতে পারতো।ম্যাচ জুড়ে চাপে থাকলেও সংবাদ সম্মেলনে এনরিকে শোনালেন দলের ওপর তার আস্থার কথা।“এটা চমৎকার একটা খেলা, এখানে জয়টা দুঃখ বা সব হতাশা ভুলিয়ে দেয়। পর্তুগাল একটি শীর্ষ দল। প্রথমার্ধে বল দখলে রাখায় আমি অনেক জোর দিয়েছিলাম এবং আমরা তা করতে পেরেছি।”
“প্রথমার্ধে এটা দেখানোর দরকার ছিল যে বল আমাদের নিয়ন্ত্রণে, দ্বিতীয়ার্ধে আমার মনে হচ্ছিল যে গোল আসছে।”আপাতত নেশন্স লিগ অভিযান শেষ করার পর এনরিকের সামনে চ্যালেঞ্জ কাতার বিশ্বকাপের দল নির্বাচন করা। সাবেক বার্সেলোনা কোচ জানালেন, অনেক বেশি প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে চূড়ান্ত দল বেছে নেওয়া তার জন্য কঠিন হবে।“এই খেলোয়াড়দের কোচিং করানো দারুণ ব্যাপার। (বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াডের) সম্ভাবনায় ২৬ জন নয়; বিশ্বকাপের দলের বিবেচনায় আসতে পারে ৪০ জন। এমন মানের খেলোয়াড়দের কোচিং করানো আনন্দের।”“দুঃখের বিষয় হলো, এইসব খেলোয়াড়দের (চূড়ান্ত স্কোয়াডের) অনেককে বাইরে রাখতে হবে। বিষয়টি ক্রমাগত পরিবর্তন হয়। এটা আমার জন্য কঠিন হবে।”আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনু্ষ্ঠেয় বিশ্বকাপে ‘ই’ গ্রুপে রয়েছে স্পেন। অন্য তিন দল জার্মানি, কোষ্টা রিকা ও জাপান।