Friday, December 12, 2025
বাড়িখেলাবাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট আয়োজনে এগিয়ে ডারউইন

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট আয়োজনে এগিয়ে ডারউইন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ আগস্ট।। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই দিয়ে ২২ বছর পর টেস্ট ক্রিকেট ফিরতে পারে ডারউইনে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশের সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে নর্দান টেরিটরির এই শহরে। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের এই সফরটি হওয়ার কথা ছিল ২০২৭ সালের মার্চে। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার মূল টেস্ট ভেন্যুগুলোর কোনো দুটিতেই হয়তো খেলা হতো। তবে টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশেষ একটি টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হচ্ছে ওই সময়টাতেই। বাংলাদেশের সফর তাই এগিয়ে আনা হয়েছে ২০২৬ সালের জুলাই-অগাস্টে। অস্ট্রেলিয়ায় তখন শীতকাল। সেখানকার মূল ভেন্যুগুলোতে সাধারণত খেলা হয় না এই সময়টায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি আয়োজনের লড়াইয়ে আছে তাই ডারউইন, ম্যাকাই, কেয়ার্নস ও টাউন্সভিল। কদিন আগে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচ দিয়ে প্রায় ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে ডারউইনে। সেই সিরিজেই ভেন্যুটির নানা সুযোগ-সুবিধা দেখে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা প্রশংসা করেছেন। ২২ বছর পর সেখানে টেস্ট ক্রিকেট ফেরাটাও এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অবশ্য এখনও হয়নি। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী স্পষ্ট আভাস দিয়ে রাখলেন। “আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, বিভিন্ন আলাদা জায়গায় আমরা ক্রিকেট খেলতে চাই যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের তারকাদের চোখের সামনে দেখতে পারে। সেখানকার (ডারউইনে) মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছি আমি এবং সেখানে আরও বেশি ক্রিকেট আয়োজনে আমাদের মতোই তাদের আগ্রহ প্রবল। ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটি, আবহাওয়া, সেদিক থেকে ভাবলে সেখানকার কন্ডিশন দারুণ এবং কোনো কিছু নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু নেই।” দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ডারউইনে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে, অর্থাৎ শীতকালেই বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট হয়েছে এখানে দুটি, ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ও ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওই সফরে আরেকটি টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল কেয়ার্নসে। তবে আগামী বছর বাংলাদেশের সফরে আরেকটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের লড়াইয়ে আপাতত এগিয়ে ম্যাকাই। ২০২৩ সালে সেখানে সংস্কার কাজ করার পর ভেন্যুটি দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের খেলা ছিল সেখানেও। সেখানকার সুযোগ-সুবিধা ও উইকেটও দারুণ মনে ধরেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। মেয়েদের বিগ ব্যাশের খেলাও নিয়মিত আয়োজন করা হয় সেখানে। ভেন্যু হিসেবে টাউন্সভিলও ভালো। ২০২২ সালে সেখানে ওয়ানডে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে বজ্রপাতের শঙ্কাসহ নানা কারণে আপাতত সম্ভাবনায় পিছিয়ে এই শহর।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য