স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ মে : মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু-সহ ২৭ মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে গত বুধবার। বড়সড় এই সাফল্যের পর গোটা অভিযানের ‘নায়ক’দের ফুল ও আবিরে বরণ করে নিলেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি আনন্দ উৎসবে মাতলেন ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বা ডিআরজি জওয়ানরা। সেই ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে শুরু করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে বাসবরাজু-সহ ২৭ জনের মৃত্যু মাওবাদীদের কোমর ভেঙে দেওয়ার মতোই। মৃত মাওবাদীদের যৌথ মাথার দাম ছিল ১৩.৫ কোটি টাকা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সিপিআই (মাওবাদী)-র শীর্ষনেতা বাসবরাজু ছাড়াও বাকি মাওবাদীরার বড়সড় কমান্ডার। মাওবাদের ভিমরুলের চাকে এই বিরাট আঘাত হানার পর অভিযানে অংশ নেওয়া জওয়ানদের অভ্যর্থনা জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নেন ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার বাসিন্দারা। প্রবল বৃষ্টির মাঝেই চলে এই তিলক অনুষ্ঠান। এমনকী সেখানে ঐতিহ্যবাহী বস্তেরিয়া গানে নাচ করতে দেখা যায় ডিআরজি জওয়ানদের।
ভাইরাল ভিডিওদের দেখা যাচ্ছে, অপারেশনের পর জওয়ানরা ক্যাম্পে ফিরলে সেখানে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন গ্রামবাসীরা। সকলকে আবির মাখানোর পাশাপাশি মঙ্গল প্রদীপে বরণ করে নেন মহিলারা। জওয়ানদের কপালে জয়তিলক পরিয়ে মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি চলে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান। অভিযান শেষে ফিরে এই আনন্দ উৎসবে অংশ নেন সকল জওয়ানরা। উল্লেখ্য, ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) হলেন সেই সকল জওয়ান, যাঁদের নিয়োগ করা হয় স্থানীয় অঞ্চল থেকে। এলাকার বাসিন্দা হওয়ার ফলে ছত্তিশগড়ের দুর্গম জঙ্গল সম্পর্কে এদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে দুর্গম জঙ্গলে মাওবাদী ডিআরজি জওয়ানরাই অন্যতম ভরসা নিরাপত্তাবাহিনীর।
যদিও জানা যাচ্ছে, বাসবরাজুকে হারানোর মতো এতবড় ধাক্কার পরও হাল ছাড়তে নারাজ মাওবাদী সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ব। এর মধ্যেই নয়া সাধারণ সম্পাদক খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেশব রাওয়ের মৃত্যুর পর কে সংগঠনের শীর্ষ পদে বসে সে দিকে নজর রেখেছে গোয়েন্দারাও। আপাতত দু’জনের নাম গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। যদিও সংগঠনের তরফে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। এদিকে, মাওবাদীদের কার্যকলাপের পাশে না দাঁড়িয়েও কেশব রাওকে যেভাবে মারা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করেছে সিপিএম, সিপিআই ও ফরওয়ার্ড ব্লক।