স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ মে : আশ্রয় আবাসের পেনশনারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আন্দোলনে বসেন। আবাসের সামনেই তারা আন্দোলন করে ইনচার্জ পরিবর্তনের দাবি করে এবং অবিলম্বে ইনচার্জ সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত যেসব কর্মীরা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী জানান। পরে তারা এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন গত বুধবার গভর্নর বডির মিটিং হয়। বৈঠকে প্রবীনদের স্বার্থ বিরোধী একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। যার কোনভাবেই মানতে পারছে না আবাসে বসবাসকারী প্রবীণরা।
তাদের অভিযোগ, ত্রিপুরা রাজ্য সমাজ কল্যাণ পর্ষদ পরিচালনার আশ্রয় পেনশনার আবাসনে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। এই আবাসনে বসবাসরত প্রবীনদের অভিযোগ ইনচার্জ অনিতা সাহা, ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং প্রীতিস দেবনাথ সহ কিছু কর্মীরা মিলে আশ্রয় পেনশনারদের বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করছে। যেমন গত ২১ মে একটি বৈঠক করে জানিয়ে দেন, পেনশনারদের মাসিক ভাড়া ৩ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪ হাজার টাকা করা হয়। তারপর পেনশনাররা তাদের জানিয়ে দেয় তিন হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে চার হাজার টাকা ভাড়া করা হলে তারা দিতে পারবে না। এবং এই আবাসের ইনচার্জ অনিতা সাহা এই প্রবীনদের উপর বিভিন্নভাবে দুর্ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয় অনিতা সাহা বিভিন্ন সময় এই বৃদ্ধ বয়সের লোকদের সাথে কুরুচিকর কথাবার্তা বলেন। বিশেষ করে তিনি এই আবাস সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না। যার কারণে উনাকে এই আবাস থেকে বদলি করার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে।
আরো বলেন, অনিতা সাহার সাথে জড়িত তরুণী দেবনাথ নামে আরো এক কর্মী। তিনিও বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করেন পেনশনার প্রবীনদের উপর। আরো লক্ষ্য করা যায় পুরনো কমিটির সময় একটি ম্যাচ তৈরি করা হয়েছিল। সেই পুরনো কমিটির সঙ্গে আবাসে কয়েকজন জড়িত। তারা ২০২১ সাল থেকে ৭ হাজার টাকা করে পেনশনারদের কাছ থেকে আদায় করে। এই কমিটির নেতা ছিলেন ধীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। এখন তাদের কাছ থেকে কোনরকম হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার অধিক আত্মসাৎ করেছে কর্তৃপক্ষ। তারপর সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়ের কাছে যান পেনশনারা। এবং এই দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। অথচ এখন পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ম্যাচের নাম করে গিলে খেয়ে ফেললেও তদন্ত আর হবে না। এ নিয়ে আন্দোলনেও বসা হয়েছিল। তারা আরো জানান যে খাবার তাদের পরিবেশন করা হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। এদিকে প্রশাসন এবং সরকার যাতে কড়া নজর দেয় তার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে। নয়তো আগামী দিন বৃহত্তর আন্দোলনে নামার ছাড়া তাদের কাছে আর কোন পথ খোলা নেই। উল্লেখ্য, সুশাসনে দুর্নীতির অভিযোগ চারিদিকে কান পাতলে শোনা যায়। পরিতাপের বিষয় কোনো তদন্ত নেই। মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ হলেও, সবকিছুই কেল্লাফতে!