স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ মে : এ লড়াই ধর্ম বনাম অধর্মের। একজোট হতে হবে। পহেলগাঁও হামলার পরই বার্তা দিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। এবার তিনি শত্রুদেশকে রুখতে ভারতকে আরও শক্তিশালী হওয়ার বার্তা দিলেন। সংঘপ্রধান বললেন, ভারত শান্তির পক্ষে। কিন্তু শান্তি রক্ষার জন্যও নিজেদের শক্তিশালী হওয়া জরুরি। নিজেরা শক্তিশালী হলে কেউ চোখ তুলে তাকাতে পারবে না।
মোহন ভাগবতের দাবি, “ভারত পৃথিবীর প্রাচীনতম দেশ। সংঘপ্রধান বলছেন, “দেখতে গেলে আমরা গোটা বিশ্বের বড় ভাই। আমাদের পূর্বপুরুষরা দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন, এমনভাবে জীবন অতিবাহিত করতে, যা দেখে অন্যরা শিখবে। তাই আমাদের ত্যাগ, এবং শান্তির পথে জীবন যাপন করতে হবে।” কিন্তু একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, শান্তির বাণী তখনই সাজে যখন তুমি নিজে শক্তিশালী হবে। মোহন ভাগবতের কথায়, “ভারত সব দিক থেকে উন্নতি করবে। সেটা করাও উচিত। আমাদের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু কেউ চোখ তুলে তাকালে তাঁকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার শক্তি আমাদের আছে। সেই শক্তি থাকাও উচিত।”
ভাগবতের কথায়, গোটা বিশ্বে শান্তি বজায় থাক সেটা আন্তরিকভাবেই চায় ভারত। কিন্তু বিশ্ব সম্মান করে শুধু শক্তিকে, সামর্থ্যকে। তাঁর কথায়, “বিশ্ব শান্তির এবং উন্নতির কথা তখনই শুনবে যখন তুমি শক্তিশালী হবে। এটাই বিশ্বের নিয়ম। এটাকে পালটানো যাবে না। তাই বিশ্বের উন্নতির জন্যই আরও শক্তিশালী হতে হবে ভারতকে।” ভাগবত বলছেন, “ভুলে গেলে চলবে না, বিশ্বের উন্নয়ন আমাদের ধর্ম। হিন্দুদের দায়িত্ব।”
আসলে পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই দেশকে শক্তিশালী করার বার্তা দিয়ে চলেছে আরএসএস। এর আগে তিনি বলেছেন, “এবার আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমরা একত্রিত থাকলে কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। আর যদি কেউ চোখ তুলে তাকায় তাহলে সেই চোখ গেলে দেওয়া হবে। ঘৃণা বা নৃশংসতা কোনওটাই আমাদের স্বভাব নয়। কিন্তু চুপচাপ নিজের ক্ষতি সহ্য করাও যাবে না। অহিংসদেরও শক্তিশালী হতে হয়। শক্তি না থাকলে কোনও বিকল্প থাকে না। আর শক্তি থাকলে সেটা দৃশ্যমান হওয়া উচিত।”