স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ মে : বৃহস্পতিবার রাত তখন সাড়ে ৩টে। জওয়ান এম মুরলী নায়েকের বাড়িতে ফোন আসে। ফোনটা ধরেছিলেন তাঁর এক আত্মীয় রঞ্জিত। ফোন তুলতেই তাঁকে জানানো হয়, পাকিস্তানের ছোড়া গোলায় আহত হয়েছেন মুরলী। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার ফোন আসে। তখন জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে মুরলীর। তাঁর মৃত্যুতে দিশাহারা গোটা পরিবার।
এক আত্মীয় জানান, বুধবার রাতে বাড়িতে ফোন করেন মুরলী। বাড়িতে তিনি জানান, নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। বৃহস্পতিবারও ফোন করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের এই জওয়ান। ওই আত্মীয়ের কথায়, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করে মুরলী জানান, বাবা-মায়ের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে। তখন আমি ওকে আশ্বস্ত করি। কিন্তু মুরলীর কথার মধ্যে একটা উদ্বেগ ধরা পড়েছিল। ওকে আমি আগে কখনও এ রকম উদ্বিগ্ন হতে দেখিনি। কিন্তু ওকে আশ্বস্ত করে বলেছিলাম, নিজের খেয়াল রাখতে। তার পরই গভীর রাতে ফোন আসে মুরলী আহত হয়েছে।’’ ভোরের আলো ফুটতেই জানা যায়, মুরলী আর বেঁচে নেই।
অন্ধ্রপ্রদেশের সত্যসাই জেলার বাসিন্দা মুরলী। ২০২২ সালে সেনার ৮৫১ লাইট রেজিমেন্টে যোগ দেন তিনি। তাঁর বাবা শ্রীরাম নায়েক বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে সেনায় যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখত ছেলে। সেনার পোশাক ছিল ওর খুব প্রিয়। সবসময় বলত দেশের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করব।’’ মুরলীর বাবা এবং মা দিনমজুরের কাজ করতেন মুম্বইয়ে। সেনায় মুরলী চাকরি পাওয়ার পর সেই কাজ ছেড়ে গ্রামে ফেরেন তাঁর বাবা-মা। ছেলের মৃত্যুতে দিশাহারা পরিবার।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ব্যাপক হারে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও।