স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ ফেব্রুয়ারি : মুদা কেলেঙ্কারিতে বিরাট স্বস্তি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। ৩ হাজার কোটির কেলেঙ্কারিতে সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী এবং অন্য দুই অভিযুক্তকে ক্লিনচিট দিল কর্নাটকের লোকায়ুক্ত। ওই মামলায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে লোকায়ুক্ত। তবে লোকায়ুক্তের তদন্তে ক্লিনশিট পেলেও ইডি এখনও সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার এক বছরের মধ্যেই গুরুতর অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জন আন্দোলনকারী রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন।
কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেন। সেই মতো জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সূত্রে সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ায় এই মামলায়। সেই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট। এর পর কর্নাটকের লোকায়ুক্ত আদালতের নির্দেশে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন লোকায়ুক্ত।
বুধবারই সেই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তদন্ত শেষে লোকায়ুক্ত জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সাপেক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটা ফৌজদারি তদন্তের উপযুক্ত মামলাও নয়। এই মামলার মূল মামলাকারী স্নেহময়ী কৃষ্ণাকেই তলব করা হয়েছে। যদিও ইডি এখনও সিদ্ধার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। ফলে এখনই পুরোপুরি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন না কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।