Sunday, March 23, 2025
বাড়িজাতীয়কেটে গিয়েছে ছ’-ছটা বছর।আজও অনেক ‘কেন’র উত্তর খুঁজে ফেরে পুলওয়ামার শহিদদের পরিবার

কেটে গিয়েছে ছ’-ছটা বছর।আজও অনেক ‘কেন’র উত্তর খুঁজে ফেরে পুলওয়ামার শহিদদের পরিবার

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৪ ফেব্রুয়ারি : ক্যালেন্ডার বলছে, কেটে গিয়েছে ছ’-ছটা বছর। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের লেথপোরায় ঘটে যাওয়া সেই নাশকতার পর ঘটে গিয়েছে অনেক পরিবর্তন। যেখানে বদল আসেনি, তা শুধু স্বজনহারানো পরিবারগুলির হাহাকার। হাওড়ার বাবলু সাঁতরা, নদিয়ার সুদীপ বিশ্বাসদের মতো অসম, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের ১৬টি রাজ্যের ৪০টি পরিবার গত পাঁচ বছরের মতো এবারও কাটাবে নিজেদের প্রাণের মানুষের ছবিগুলোকে বুকে আগলে রেখে। লেথপোরার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ শ্রদ্ধা জানাবে বীর শহিদদের। প্রতিবারের মতো এবারও জম্মু-কাশ্মীর বিজেপিও স্মরণ করবে শহিদদের। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর সরকারের তরফ থেকে কোনও কর্মসূচির খবর নেই।

বাবলুর স্ত্রী মিতা পেয়েছেন চাকরি। পেনশন চালু হয়েছে সুদীপের মায়ের। কিন্তু স্বজন হারানোর শোক কি আর এর মাধ্যমে পূরণ হয়? দুই বাড়িতেই এদিন হবে বাৎসরিক অনুষ্ঠান। তার মাঝেই বাবলুর বোন ঝুমা বলছিলেন, “এতগুলো বছর কেটে গেল, এখনও তো নতুন কোনও উত্তর পাওয়া গেল না। এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ সবাই যেন সব ভুলে গেছে। শুধু এই দিনটা এলেই যেন স্রেফ নিয়ম মেনে একটু মনে করা। ব্যস।” ঝুমার কথাতেই টাটকা হয়ে যেতে বাধ্য পুলওয়ামার ঘটনার সময় জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের আনা বিস্ফোরক নানা দাবি। সেই প্রসঙ্গেই বিতর্ক এড়ানোর চেষ্টা করে বাবলুর দাদা কল্যাণ বলছিলেন, “দেখুন সরকার চাইলে সবই পারে। মারতেও পারে, রাখতেও পারে। এর থেকে বেশি আর কী বলব বলুন। যা গেছে, তা তো আমাদেরই গেছে।”

গত পাঁচ বছরের মতো এবারও লেথপোরার নাশকতার স্থলে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবে সিআরপিএফ। গত বছর হওয়া নির্বাচনের পর এখন মসনদে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সরকার। তাতেও অবশ্য প্রথাবদলের খবর নেই সন্ধ্যা পর্যন্ত। সরাসরি মন্তব্য করতে না চাইলেও ন্যাশনাল কনফারেন্সের এক নেতার মতে, বিষয়টির সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, প্রোটোকল বলেও তো কিছু জিনিস হয়! এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জম্মু-কাশ্মীর বিজেপি। অন্যতম মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর বলেন, “আমরা তো আগাগোড়াই বলে এসেছি এনসি, পিডিপি- এই দলগুলির ভারত, দেশের সেনা বা আধাসেনাদের নিয়ে কোনওরকম টান-ভালোবাসা নেই। ওরাই আবার তা প্রমাণ করে দিল। মুখ্যমন্ত্রী পারতেন না আলাদা করে শ্রদ্ধা জানাতে? শহিদ স্মরণ করতে প্রোটোকল লাগে নাকি?” ২০১৯ সালের নাশকতার পর থেকেই এই ঘটনাকে ঘিরে জড়িয়েছে রাজনীতি। হয়েছে অনেক আকচাআকচি। যা থেকে বার হওয়া গেল না অর্ধ যুগ বাদেও।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য