স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ ফেব্রুয়ারি : অযোধ্যার রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। চলতি মাসের শুরু থেকে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এসপিজিআই)-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অশীতিপর বৃদ্ধ।
সত্যেন্দ্রর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ব্রেন স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু হয়েছে সত্যেন্দ্রের। গত বেশ কিছু মাস ধরেই বয়সজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন রামমন্দিরের প্রধান পূজারি। গত বছরের শেষের দিকেও স্নায়ুর নানা সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল সত্যেন্দ্রকে। সে বার চিকিৎসায় সেরে উঠলেও চলতি বছরের শুরুতে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। স্নায়ুরোগের পাশাপাশি মধুমেহ এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাও ছিল সত্যেন্দ্রের। গত মাসের শেষে তাঁকে অযোধ্যার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে উন্নততর চিকিৎসার জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি এসপিজিআই-তে ভর্তি করানো হয়েছিল। হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিভাগে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সত্যেন্দ্রকে দেখতে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বুধবার ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রামমন্দিরের প্রধান পূজারির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ‘‘ভগবান রামের পরম ভক্ত এবং রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্রকুমার দাসের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। অধ্যাত্ম জগতের জন্যও এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। সঙ্গে ভগবান রামের কাছেও প্রার্থনা করি, তিনি যেন সত্যেন্দ্রের আত্মাকে তাঁর চরণে স্থান দেন এবং তাঁর শোকাহত ভক্ত ও শিষ্যদের এই অপরিসীম ক্ষতি সহ্য করার ক্ষমতা দেন।’’
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। তবে তার আগে থেকেই অস্থায়ী রামমন্দিরের পুরোহিত পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল আশৈশব অযোধ্যার বাসিন্দা সত্যেন্দ্রেকে। মাত্র ২০ বছর বয়স থেকেই তিনি নানা আধ্যাত্মিক কাজে নিজের জীবন সঁপে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া সত্যেন্দ্র নির্বাণী আখড়ার সদস্য ছিলেন। রাম জন্মভূমি আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। রামমন্দিরে রামলালার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছিল তাঁর হাতেই।