স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বরঃ প্রয়াত হলেন দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ। দীর্ঘ রোগভোগের পর মঙ্গলবার ভোরে বেঙ্গালুরুতে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। অসুস্থতা নিয়ে অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল কৃষ্ণকে। তার পর খানিক সুস্থ হয়ে কিছু দিন আগে বাড়ি ফিরেছিলেন।
১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কৃষ্ণ। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় ইউপিএ মন্ত্রিসভায় বিদেশ মন্ত্রকের গুরুভার ছিল তাঁর কাঁধেই। অনেকেই মনে করেন সে সময় দেশের বিদেশনীতি পরিচালনায় বিচক্ষণ কৃষ্ণের ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন মনমোহন। রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে অনেকেই মনে করেন, বেঙ্গালুরুকে দেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কৃষ্ণের বিশেষ অবদান রয়েছে।
কৃষ্ণের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরেই শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, ‘‘এসএম কৃষ্ণজির সঙ্গে বহু বার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের আমি সমবেদনা জানাই।’’ শোকবার্তা জানিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও।
কৃষ্ণের পরিবারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ভোর পৌনে ৩টে নাগাদ মারা যান দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, কৃষ্ণের মরদেহ মঙ্গলবারই তাঁর জন্মস্থান কর্নাটকের মাদ্দুরে নিয়ে যাওয়া হবে। কৃষ্ণের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী প্রেমা এবং দুই কন্যা সম্ভাবি ও মালবিকা।
আমেরিকা থেকে আইনে স্নাতক কৃষ্ণ চার বছর (২০০৪ থেকে ২০০৮) মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল পদে ছিলেন। তার পর ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন তিনি। দীর্ঘ পাঁচ দশক কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কৃষ্ণ ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। তবে তার পর রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে। ২০২৩ সালে জনকল্যাণ সংক্রান্ত কাজে অবদানের জন্য কৃষ্ণকে পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়।