স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩১ অক্টোবর : জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়া এক মাত্র সেখানেই সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের। গত এক দশকের রীতি মেনে সীমান্তে গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদ্যাপদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেছে নিলেন তাঁর রাজ্য গুজরাতের কচ্ছ এলাকার সেই স্যর ক্রিককে।
বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখা (স্থল, নৌ ও বায়ুসেনা) এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অফিসার-জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রদীপ জ্বালিয়ে, নিজের হাতে মিষ্টি খাওয়ালেন তাঁদের। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নর্মদা জেলার একতা নগরে সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ কর্মসূচি থেকে কচ্ছের কোটেশ্বরে নামার পর মোদী স্যার ক্রিক এলাকার লাক্কি নালায় যান।
প্রকাশিত ছবিতে টহলদারি জলযানে জওয়ানদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘আপনজনের’ সঙ্গে সময় কাটাতে চান বলেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রত্যেক দীপাবলি সীমান্তে সেনার জওয়ানদের সঙ্গেই কাটে বলে মোদী অতীতে অনেকবারই জানিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ সীমান্তে সেনা এবং আধাসেনার সঙ্গে দীপবলি উৎসবে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ বারই প্রথম ‘বিতর্কিত’ স্যর ক্রিক এলাকায় দীপাবলি কাটালেন প্রধানমন্ত্রী।
সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি হয়েছে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ স্যর ক্রিক। এই অঞ্চলটি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অবস্থিত একটি বিতর্কিত ভূখণ্ড। কচ্ছের রণের পশ্চিমে অবস্থিত নালা এবং জলাভূমি এলাকা পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে আলাদা করে রেখেছে গুজরাতকে। এই অঞ্চলে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’। ১৯৯৯ সালে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদার বিমানকে ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই ঘটনায় ১৬ জন পাকসেনা নিহত হয়েছিলেন।