Saturday, March 15, 2025
বাড়িজাতীয়তফসিলি জাতি-উপজাতির সংরক্ষণ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের।

তফসিলি জাতি-উপজাতির সংরক্ষণ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের।

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ১ লা আগস্ট  : তফসিলি জাতি-উপজাতির সংরক্ষণ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের। এবার তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত নাগরিকদের মধ্যেও হবে শ্রেণিবিন্যাস। সেই বিন্যাসের ভিত্তিতে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে সংরক্ষণ ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক রায়ে শীর্ষ আদালত, তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের মধ্যেও সংরক্ষণের জন্য আলাদা করে  শ্রেণিবিন্যাসে সায় দিল।  ৭ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের ছ’জন বিচারপতিই তফসিলি জাতি-উপজাতির পুনর্বিন্যাসের পক্ষে রায় দিয়েছেন। 

এর আগে ২০০৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মধ্যে আলাদা শ্রেণি বিন্যাসের দাবি খারিজ করে দেয়। সেসময় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তফসিলিরা সমশ্রেণিভুক্ত। তাই তাঁদের মধ্যে আলাদা শ্রেণিবিন্যাস করার কোনও অর্থ হয় না। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ৭ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও শ্রেণিবিন্যাস প্রয়োজন।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, তফসিলি জাতিভুক্তদের মধ্যেও অনেক শ্রেণি রয়েছে, তাঁদের মধ্যেও কিছু কিছু শ্রেণি তুলনায় পিছিয়ে পড়া। সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও এই প্রজাতিভুক্তদের উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়  বিচারপতি বিআর গভই, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী, বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা। সাত বিচারপতির মধ্যে ৬ বিচারপতিই একমত, যে দেশের সব তফসিলি জাতি বা উপজাতিভুক্ত নাগরিক সমশ্রেণিভুক্ত নন। তাই তাঁদের মধ্যে আলাদা বিন্যাস করা যেতেই পারে। শুধুমাত্র বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী দ্বিমত পোষণ করেন।

এই রায়ের ফলে দেশের সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বদলে যেতে পারে। কারণ, এর পর কোনও রাজ্য চাইলে তফসিলি জাতি (SC) বা উপজাতিভুক্তদের (ST) শ্রেনিবিন্যাস করে আলাদা আলাদা শ্রেণির জন্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ চালু করতে পারে। তফসিলিদের মধ্যে যারা বেশি অনগ্রসর তাঁদের জন্য দেওয়া হতে পারে বাড়তি সংরক্ষণ। তবে, সেক্ষেত্রে সার্বিক যে সংরক্ষণের মাত্রা সেটা পরিবর্তন করা যাবে না।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য