স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ১ লা আগস্ট : প্রবল বর্ষণ, পায়ের তলায় এবড়ো-খেবড়ো মাটি। পা রাখাই দায়। সেই সব প্রতিকূলতা কাটিয়েও রাতভর কেরলের ওয়ানড়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ , কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে ততই যেন স্পষ্ট হচ্ছে পরিস্থিতির ভয়াবহতা। ধ্বংসস্তুপ সরালেই উদ্ধার হচ্ছে লাশ!
ওয়ানড়ের ভয়াবহ ভুমিধসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দেড়শো জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও প্রায় দুই শতাধিক মানুষ নিখোঁজ। স্থানীয়দের মতে, নিখোঁজদের জীবিত থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ওয়ানড়ের জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে হাজার হাজার টন পাথর এবং মাটির যে স্তূপ তৈরি হয়েছে, তা খুঁড়ে উদ্ধারের কাজ চালানো খুব কঠিন। ওয়ানড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্রায় নিশ্চিহ্ন। স্থানীয় চার্চ, স্কুল-কলেজের যা অবশিষ্ট আছে, সবকিছুকেই ব্যবহার করা হচ্ছে দুর্গতদের আশ্রয়স্থল এবং চিকিৎসার জন্য।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, দু’দিনের অভিযানে দেড় হাজার জনের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরানো গিয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমাদের রাজ্য এমন বেদনাদায়ক দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি।” বিপর্যয়ের সম্ভবত এখানেই শেষ নয়। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও ওয়ানড়ের আশাপাশে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। ফলে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে।