স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ জুলাই: শুধু বিরোধী শিবির নয়, উত্তরপ্রদেশে যোগীর নয়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন এনডিএ সরকারের মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। যোগী সরকারের নয়া বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে বিহারের আরএলডি দলের প্রধানের স্পষ্ট বক্তব্য জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে যদি কোনও বিভাজন হয়ে থাকে তাহলে তা কোনওভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়।
কানোয়ার যাত্রা উপলক্ষে যোগী সরকারের নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে দেশজুড়ে শুরু বিতর্ক শুরু হয়েছে। যেখানে যোগী সরকার নির্দেশ দিয়েছেন কানোয়ার যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে সেই দোকানগুলিতে বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যার উদ্দেশ্য, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদা ভাবেন চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলি। এই ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। এমনকী যোগীরাজ্যকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা করেছেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব জাভেদ আখতার।.
এই ইস্যুতে যোগী সরকারের বিরোধিতা করে বিহারের আরএলডি প্রধান তথা এনডিএ শরিক চিরাগ পাসওয়ান বলেন, “আমি একবিংশ শতাব্দীর একজন শিক্ষিত যুবক। এবং আমার লড়াই জাতিভেদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। আমাদের রাজ্যেও পিছিয়ে পড়া মানুষের দুর্দশার পিছনে মূল কারণ এই জাতিভেদ ও সাম্প্রদায়িকতা। দেশের যেখানে জাতিভেদ প্রথা ও সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দেবে ও বিভাজন তৈরি হবে, সমর্থন তো দূরের কথা আমি সর্বতভাবে তার বিরোধিতা করব। আমার মনে হয় আমার বয়সি শিক্ষিত যুবকরা এই ধরনের ভেদাভেদকে কোনওভাবেই সমর্থন করে না। এবং এই ধরনের ধর্মীয় ভেদাভেদের বিরোধিতাই করবে।”
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের হাজার হাজার ভক্ত কানোয়ার যাত্রায় যান। হরিদ্বার, গোমুখ, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাজল নেওয়াই কানোয়ার যাত্রার উদ্দেশ্য। এরপর সেই জল ভগবান শিবের মাথায় ঢালা হয়। আটের দশকে কানোয়ার যাত্রা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। তার আগে অল্প সংখ্যক মানুষ এবং সন্ন্যাসী এই যাত্রায় যেতেন। কিন্তু আটের দশকের পর থেকে সারা ভারত থেকে শিবভক্তরা গঙ্গা জল সংগ্রহের জন্য প্রতি বছর এই যাত্রা করে থাকেন।