স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ জুলাই: পশ্চিমবঙ্গ-সহ সাতটি রাজ্যের ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করছে ইন্ডিয়া জোট। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এনডিএ জোটের বড় ধাক্কা নিঃসন্দেহে গেরুয়া শিবিরে আতঙ্কের সঞ্চার করবে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব বলছে ১০টি আসনেই জয়লাভ করতে চলেছে বিরোধীরা। সেখানে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র দুটিতে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিততে চলেছে একটিতে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এনডিএ ৩, ইন্ডিয়া জোট ১০- এই সম্ভাবনাই প্রবল।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা ও মানিকতলার উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। যেখানে ২০২১ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী, একমাত্র মানিকতলা ছাড়া বাকি কেন্দ্রগুলি ছিল বিজেপির দখলে। সেই আসন পুনরুদ্ধার করেছে তৃণমূল । ফলে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পদ্ম শিবির।
এদিকে পাঞ্জাবের পশ্চিম জলন্ধর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন আপ প্রার্থী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী শীতল আঙ্গুরালকে ৩৭ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি। হিমাচলের হামিরপুরে হাজার দেড়েক ভোটে বিজেপি জিতলেও সেরাজ্যের দুটি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে হাত শিবির। তামিলনাড়ুতে জয়ী ডিএমকে। আবার বিহারের রুপৌলিতে জেডিইউ এগিয়ে রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে অবশ্য শেয়ানে শেয়ানে লড়াই চলছে। তাতে কংগ্রেসের থেকে হাজারের কম ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে নির্বাচনের ফলাফলের ছবিতে বিরোধী জোটের উৎসাহিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ‘আব কি বার চারশো পারে’র স্লোগান তুললেও এনডিএ কার্যতই ধাক্কা খেয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যেখানে বিজেপি একাই ‘ম্যাজিক ফিগার’ টপকে গিয়েছিল, সেখানে এবার বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০-এ। ৩০০ পেরোতে পারেনি এনডিএ। অন্যদিকে কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৪ আসন। ফলে গত দুবারের তুলনায় পদ্ম শিবিরকে অনেক বেশি ধাক্কা খেয়ে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনের ফলাফলও ইঙ্গিত দিচ্ছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও ঘুরে দাঁড়ানো খুব সহজ হবে না বিজেপির পক্ষে।