Friday, February 7, 2025
বাড়িজাতীয়সিএএ নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ-বার্তার জবাব দিল ভারত

সিএএ নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ-বার্তার জবাব দিল ভারত

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৫ মার্চ : ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। তারা জানিয়েছে, এই আইন কী পদ্ধতিতে ভারতে প্রয়োগ করা হবে, তার দিকে ওয়াশিংটনের তরফে নজর রাখা হয়েছে। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের সিএএ নিয়ে বক্তব্যের পরেই জবাব দিল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আমেরিকার উদ্বেগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের বার্তাকে ‘অযৌক্তিক’ বলেছে ভারত। সিএএ-তে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেও উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শুক্রবার জানিয়েছেন, সিএএ প্রসঙ্গে আমেরিকা যা বলেছে, তা ‘অযৌক্তিক, ভুল তথ্য দ্বারা পরিচালিত এবং ভুল জায়গায় প্রযুক্ত’। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সিএএ মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। তা কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এই আইনে মানুষের রাষ্ট্রহীনতা, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার কথা বলে। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দেশের অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতি এবং মানবাধিকারের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে তৈরি। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পারসিক সম্প্রদায়ের যে সমস্ত মানুষ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় দেয় সিএএ।’’

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করছি, আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক সিএএ নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা ভুল তথ্য দ্বারা পরিচালিত, ভুল জায়গায় প্রযুক্ত এবং অযৌক্তিক।’’

এর আগে আমেরিকা সিএএ নিয়ে বলেছিল, ‘‘গত ১১ মার্চ ভারত সরকার সিএএ নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, আমরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই আইন কী ভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে, আমরা তার দিকে নজর রেখেছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আইনে সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকার মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।’’ দুপুরে তারই জবাব দিল ভারত।

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিণত হয়েছিল চার বছর আগেই। সম্প্রতি লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে গত সোমবার ‘আচমকা’ সিএএ আইন চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের দামামা বাজতেই সিএএ দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ভোটের আগে মোদী সরকারের ‘ছলনা’ এবং ‘প্রতারণা’ বলে কটাক্ষ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, যাঁদের ভোটে সরকার তৈরি হয়েছে, তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে কী ভাবে প্রশ্ন তুলতে পারে কেন্দ্র? সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র ঘনিষ্ঠ যোগ আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, সিএএ প্রয়োগের মাধ্যমেই বহু নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে বিজেপি সরকার। তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’। বিজেপি এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য