নয়াদিল্লি, ২০ জানুয়ারি (হি.স.): অমৃতকালের এই সময় জ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবনের সময়। ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার সময় নয় এখন, বরং জেগে উঠে সংকল্প পূরণ করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আগামী ২৫ বছর, কঠোর পরিশ্রমের পরাকাষ্ঠা, ত্যাগ ও তপস্যার ২৫ বছর।” বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রিমোটের বোতাম টিপে ‘আজাদি কে অমৃত মহোৎসব সে স্বর্ণিম ভারত কে ওর’ কর্মসূচির সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ব্রহ্ম কুমারী সংস্থার দ্বারা ‘আজাদি কে অমৃত মহোৎসব সে স্বর্ণিম ভারত কে ওর’ কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে স্বর্ণিম ভারতের জন্য ভাবনাও রয়েছে, আধ্যাত্মিক অনুশীলনও রয়েছে। দেশের জন্য অনুপ্রেরণার পাশাপাশি ব্রহ্মা কুমারীদের প্রচেষ্টাও রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “দেশের প্রগতিতেই আমাদের প্রগতি নিহিত রয়েছে। দেশের অস্তিত্বেই আমাদের অস্তিত্ব, এই ভাবনা ও উপলব্ধিই নতুন ভারত গড়ার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সমগ্র বিশ্ব যখন গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন, মহিলাদের নিয়ে পুরানো চিন্তায় নিমজ্জিত, সেই সময় ভারত মাতৃশক্তির পুজো দেবী রূপে করে।…অমৃত মহোৎসবে দেশ যে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করছে, সেই সংগ্রামে কত মহিলা নিজেদের জীবন বলিদান দিয়েছেন। বর্তমানে দেশ লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশাপাশি নারী শক্তির অবদানকে স্মরণ করছে।” মোদীর কথায়, “অমৃতকালের এই সময় আমাদের জ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবনের সময়। আমাদের এমন একটি ভারত তৈরি করতে হবে যার শিকড় প্রাচীন ঐতিহ্যে নিহিত থাকবে এবং যা আধুনিকতার আকাশে অনন্তকাল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। দেশের গণতন্ত্রেও মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন। বর্তমানে দেশের সরকারে মহিলা মন্ত্রীরা বড় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।”
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “নিজেদের সংস্কৃতি, সভ্যতা ও মূল্যবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে আমাদের। নিজেদের আধ্যাত্মিকতা, বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রচার করতে হবে, আর একই সঙ্গে প্রযুক্তি, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ক্রমাগত আধুনিকায়ন করতে হবে।” মোদী আরও বলেছেন, “অমৃতকালের এই সময় ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার সময় নয়, বরং জেগে উঠে সংকল্প পূরণ করতে হবে। আগামী ২৫ বছর, কঠোর পরিশ্রমের পরাকাষ্ঠা, ত্যাগ ও তপস্যার ২৫ বছর। শত বছরের দাসত্বের মধ্যে আমাদের সমাজ যা হারিয়েছে তা ফিরে পেতে এই ২৫ বছরের সময়কাল।”