নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি (হি.স.): করোনা ও মারণ ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সোমবার থেকে ভারত শুরু হয়েছে বুস্টার টিকা প্রদান। এদিন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, প্রথমসারির কর্মী এবং কমোর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
এদিন দিল্লি থেকে কলকাতা, জয়পুর থেকে ভোপাল-দেশের সর্বত্রই সংশ্লিষ্ট প্রাপকদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী মেডিকেল কলেজে এদিন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, প্রথমসারির কর্মী এবং কমোর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার টিকা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই।
বুস্টার ডোজ দেওয়া হয় বিহারের পাটনাতেও, দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল-সহ দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে এদিন যোগ্য প্রাপকদের দেওয়া হয় বুস্টার ডোজ। বুস্টার ডোজ দেওয়া হয় হায়দরাবাদের সরকারি উনানি হাসপাতালে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি হরিশ রাও। চেন্নাই ও কলকাতাতেও এদিন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, প্রথমসারির কর্মী এবং কমোর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার টিকা দেওয়া হয়। চেন্নাইয়ে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
উল্লেখ্য, টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করালেই এই বুস্টার টিকা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির কর্মীরা ছাড়া ষাটোর্ধ্ব যে সব ব্যক্তির হাইপার টেনশন, ডায়বেটিস এবং অন্য কোন অসুখ রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই টিকা নিতে পারবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার অন্তত ৯ মাস পর এই বুস্টার টিকা নেওয়া যাবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকার মতোই তৃতীয় টিকা এক হতে হবে। কোনও মিশ্রণ চলবে না। অর্থাৎ যাঁরা কোভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের ওই টিকাই নিতে হবে। আবার যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁদেরও তৃতীয় টিকা কোভিশিল্ডেরই নিতে হবে। তবে অন্যান্যরা এই টিকা কবে পাবেন, তা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক কিছু জানায়নি।